সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়া এবার গুজরাটে। ২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে সিনিয়রদের ইন্ট্রোডাকশনের সম্মুখীন হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। সেই ঘটনা এবার গুজরাটের একটি মেডিকেল কলেজে। দ্বিতীয় বর্ষের মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্ররা, প্রথম বর্ষের নবাগত এক ছাত্রকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখে। প্রায় ৩ ঘন্টা হস্টেলের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে অনিল মেথানিয়া নামে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। অজ্ঞান হয়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জ্ঞান ফিরলে পুলিশ বয়ান রেকর্ড করে তাঁর। র্যাগিংয়ের কথা পুলিশকে জানায় ওই পড়ুয়া। অভিযোগ ওঠে, “ইন্ট্রোডাকশন”এর নামে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ওপর এমনই অত্যাচার করে সিনিয়ররা। বয়ান দেওয়ার পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। শুধু ঘটনার দিন নয়, প্রায় প্রতিদিনই সিনিয়ররা জুনিয়রদের ওপর মানসিক- শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ১৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রদের। তদন্ত করছে পুলিশ। র্যাগিং সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে তৈরি করেও সচেতন করা যায়নি, উল্টে তা ক্রমশ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।