ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা হয়েছিল বাংলাদেশের আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের কাছে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানায় অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর। তখনই আদালত জানায়, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তারা কোনও নির্দেশ দেবে না।আদালতের বক্তব্য, চট্টগ্রামে ইসকনের সমাবেশে এবং অন্যান্য হিংসাত্মক ঘটনার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
প্রসঙ্গত ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে জ্বলছে বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। খারিজ হয়েছে জামিন। এর পরই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় চট্টগ্রামে আদালতে চত্বরে। জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। মৃত্যু হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের। এর পরই ইসকনের ‘সন্দেহজনক’ কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলিতে মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।