সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- অমিত শাহর অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নামে এফআইআর হয়েছিল বিধাননগর সাউথ থানায়। এবার একই ঘটনায় তাঁর নামে ডেপুটেশন পড়ল জোড়াসাঁকো থানায়। জোড়াসাঁকো থানা এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তীর হেট স্পিচের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার একটি ডেপুটেশন দেয়। বুধবারই মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। সল্টলেকের কৌশিক সাহা নামে এক ব্যক্তি এফআইআর দায়ের করেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ধর্মীয় উস্কানি, হিংসা ছড়ানো, শান্তিভঙ্গ, হুমকিসহ মোট ৮ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে।
গত ২৭ শে অক্টোবর রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। দাদাসাহেবফালকে পুরস্কারের জন্য তাঁকে সম্মান জানানো হয় ওই অনুষ্ঠানে। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন অভিনেতা। তিনি বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “আমাদের lএক নেতা বলেছেন, মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মুসলিম ও ৩০ শতাংশ হিন্দু। ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব। আমি ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলবেন। এরকম কথা বলতে বারণ করবেন। কেউ বারণ করেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রী না। তবুও বলব, তুমি কেটে ভাগীরথীতে ভাসাবে কিন্তু একদিন এমন আসবে, যেদিন আমি তোমাকে ভাগীরথীতে নয়। কারণ ভাগীরথী আমাদের মা হয়, তোমাকে তোমার জমিতেই পুঁতে দেব।” প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “কত ধানে কত চাল হয় দেখি। ২ ঘণ্টার মধ্যে যদি ভাগীরথীর গঙ্গায় কেটে না ফেলতে পারি, তাহলে এখান থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। মুর্শিদাবাদে ৩০ শতাংশ তোমরা আর আমরা ৭০ শতাংশ।” বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিতে তৃণমূল নেতা এহেন মন্তব্য করেছিলেন। মিঠুনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রয়োজনে ডাকা হতে পারে তাঁকে।