নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক এবার শীতে দর্শকদের বিশেষ উপহার চিড়িয়াখানার। থাকছে পাখির খাঁচায় প্রবেশের সুযোগ। শুনে কি অবাক লাগছে। কিন্তু এটা একদম সত্যি। দর্শকদের এবার সেই সুযোগই করে দিতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। শীতের মরশুমে দর্শকদের জন্য চিড়িয়াখানায় থাকছে নয়া চমক। চিড়িয়াখানায় তৈরি করা হচ্ছে বিশাল পাখিরালায়। সেই খাঁচাতে থাকবে ৮-১০ প্রজাতির পাখি। খাঁচায় ঢুকে তাদের সঙ্গে সেলফিও তুলতে পারবেন দর্শকরা। চিড়িয়াখানায় ৬৪ নম্বর খাঁচায় গিয়ে দর্শকরা দেখতে পাবেন সেই বিশালাকার খাঁচা। চলতি বছর আলিপুর চিড়িয়াখানার দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পাখি প্রেমীদের এই উপহার দিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসে দর্শকদের জন্য এই খাঁচা খুলে দেওয়া হবে। পাখিদের সুরক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। কাচ এবং তারের জাল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কাচ দেওয়ার ফলে পাখিদের আরও স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাবেন দর্শকরা। সেখানে দর্শকদের হেঁটে ঘোরার জন্য থাকছে ওয়াকিং ওয়ে। প্রায় ৮-১০ প্রজাতির পাখি থাকছে। থাকছে জলজ পাখিও । সেজন্য খাঁচার মধ্যে রয়েছে জলাশয়। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এবার দর্শকদের জন্য খাঁচায় প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাখিদের একটি নতুন খাঁচা তৈরি হয়েছে। সেখানে দর্শকরা প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদের ছুঁতে পারবেন না। কাচে মোড়া সেই খাঁচার ভিতরে পাখিদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন দর্শকরা।উল্লেখ্য, ভিনরাজ্যে এরকম অনেক চিড়িয়াখানা আছে যেখানে পশুপাখিদের খাঁচায় প্রবেশের অনুমতি রয়েছে দর্শকদের। কিন্তু এ রাজ্যে তেমনও কোনও ব্যবস্থা ছিলনা। এই প্রথম আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শকদের খাঁচায় প্রবেশের ছাড়পত্র দিচ্ছে। পাখিদের বিশালাকার কাচে মোড়া সেই খাঁচা। আর এই খাঁচা পাখিপ্রেমীদের মন কাড়বে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। শুধু এটা নয় এবারের শীতের মরশুমে আলিপুরে দেখা মিলবে বেশ কয়েকটি পশুরও। তারমধ্যে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি থেকে আসছে একটি চিতা-বিড়াল (লেপার্ড ক্যাট)। আলিপুরে বাঘ, সিংহ সহ নানা ধরনের পশুপাখির পাশাপাশি চিতা-বিড়াল বেশ আকর্ষণীয় হবে আলে মত কর্তৃপক্ষের।