সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ২০ বছর ধরে বেপাত্তা থাকার পর অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিহত কুখ্যাত মাওবাদী নেতা বিক্রম। এই ২০ বছর তাঁর খোঁজ চালিয়েছে কর্ণাটক পুলিশ। তবে কিছুতেই নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। পুলিশের খাতায় “মোস্ট ওয়ান্টেড” তালিকায় থাকা বিক্রম গৌড়ার খোঁজ চলছিল কর্ণাটক ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। কর্নাটকের উদুপির কাছে কাবিনেল জঙ্গলে কর্ণাটক রাজ্যের মাওবাদী দমন বাহিনী (এএনএফ) সঙ্গে গুলির বিনিময়ে মৃত্যু হয় মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়ার। গোপন সূত্রে খবর পায় কর্ণাটক পুলিশ। হেবরি তালুকের কাছে ৫ সশস্ত্র মাওবাদী একটি দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গেছিল। খবর পেয়েই মাওবাদী দমন বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্নাটকের উদুপি পুলিশ। যৌথবাহিনীর অভিযান চলে ওই এলাকায়। হেবরির কাছে কাবিনেল জঙ্গলে মাওবাদীরা আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। জঙ্গলে যৌথবাহিনী প্রবেশ করতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা গুলিবর্ষণ করে যৌথবাহিনী। ২ পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলতে থাকে। সংঘর্ষের পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় এক মাওবাদীর দেহ। জানা যায়, উদ্ধার হওয়া দেহ শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়ার। হেবরি তালুকের নাদরালুর কুদলু গ্রামের বাসিন্দা তথা শীর্ষ মাও নেতা বিক্রম গৌড়া পুলিশের খাতায় “মোস্ট ওয়ান্টেড” হিসাবে ছিলেন। কর্ণাটক রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলনের মুখ ছিলেন বিক্রম। মাওবাদী নেতা নিহত হলেও তাঁর সঙ্গীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। তাঁদেরও খোঁজ চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।