ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল এক তরুণের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী তরুণীর দাবি ছিল, একটি নির্জন জায়গায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীকালে বিয়ে করতে চাননি মেয়েটিকে।
মাদুরাইয়ের এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আপিল করেন তরুণ। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কৈশোরের প্রেমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর এই মামলার শুনানি ছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশের একক বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেম থাকলে, তাঁদের মধ্যে সম্মতি-সহ শারীরিক সংযোগ অস্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে ওই ছেলেমেয়ে দু’টির মধ্যে। এর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক নেই। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী একে অপরাধ বলা যায় না।
১৯ বছরের ওই তরুণী আদালতে আবেদন করে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরেই নির্জন জায়গায় দেখা করতে গেলে ছেলেটি তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল। কিন্তু বিয়ে করতে চাননি। সেই কারণে ‘অবাঞ্ছিত যৌনতা’র অভিযোগে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন মেয়েটি।
শেষমেশ উচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে গেল মামলা।বিচারপতি বলেন, ‘দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক থাকলে তারা যে একে অপরকে আলিঙ্গন বা চুম্বন করবে, সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। একে অপরাধ বলা যাবে না। এই ধরনের মামলা হলে সম্পর্কে থাকা তরুণদের অকারণ হেনস্থার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’আদালত জানিয়েছে, ওই দুই ছেলেমেয়ে বয়সের দিক থেকে টিন এজার, তাঁরা পরস্পরের সম্মতিতেই দেখা করেছিলেন এবং সময় কাটিয়েছিলেন। এতে কোনও অপরাধমূলক অভিপ্রায় ধরা পড়েনি। বরং কিশোর-কিশোরীর সম্পর্কে এমন ভালবাসাই থাকার কথা।