সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: সোনা, হিরে বা মাদক নয়, বিরল প্রজাতির সরীসৃপ পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার এক যুবক। বিস্ময়কর হলেও, এটাই সত্যি! ট্যারান্টুলা প্রজাতির মাকড়সা, বিছে এবং বুলেট পিঁপড়ে পাচারের ঘটনা সামনে আসে। বিরল প্রজাতির এই কীটগুলি পাচার করতে গিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু থেকে গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার এক যুবককে। পেরুর জর্জ চাভেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
২৮ বছর বয়সী ওই যুবকের পেটের কাছে জায়গা ফোলা ছিল তা দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আধিকারিকদের। এরপরেই তাঁর শরীরে তল্লাশি চালানো হলে পাওয়া যায় বিরল প্রজাতির কীটগুলিকে। ২ টি বেল্টের সাহায্যে জিপলগ ব্যাগ ও প্লাস্টিক কন্টেনারে কীটগুলিকে রাখা ছিল। বেল্টের মাধ্যমে শক্ত করে শরীরের সঙ্গে আটকানো ছিল জিপলগ ব্যাগ ও প্লাস্টিক কন্টেনারগুলি। উদ্ধার করা হয়েছে ৩২০টি ট্যারান্টুলা, ১১০টি বিছে এবং ৯ টি বুলেট পিঁপড়ে বলে দাবি পেরুর বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষা দফতরের। ৩২০ টি ট্যারান্টুলার মধ্যে ২৮৫ টি শিশু এবং ৩৫ টি পূর্ণবয়স্ক বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত যুবকের ফ্রান্স হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে। তার আগেই পেরুতে ধরা পড়ে যান।ল তিনি। পেরুর মাদ্রে দে ডিয়স এলাকা থেকে কীটগুলিকে সংগ্রহ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাচার করা হচ্ছিল। বিরল প্রজাতির এই ট্যারান্টুলাগুলির আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। তাই এই প্রজাতির কীটের পাচারের পরিমাণও বাড়ছে। শুধু পেরু নয়,এই প্রকারের বিরল প্রজাতির কীট, সরীসৃপ প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে কলম্বিয়া থেকেও।