নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ফের হোয়াইট হাউস ডোনাল্ড ট্রাম্পের দখলে। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় দেশের আমআদমির অধিকাংশই এতে খুশি হলেও সেখানকার সেলিব্রিটি কূলের একটা বড় অংশই এতে অখুশি। সেই তালিকায় যাদের নাম জানা গেছে সোফি টার্নার,শ্যারন স্টোন অভিনেতা চের থেকে অ্যামেরিকা ফেরেরা। র্যাভন সাইমন থেকে মিনি ড্রাইভার। তবে যেটা আশ্চর্য করেছে সেটা হল সেই তালিকায় এলন মাস্কের মেয়ের নাম থাকায়। ট্রাম্পের জয়ে উচ্ছ্বসিত এলন মাস্ক।কিন্তু অন্যদিকে তার মেয়ে ততটায় অখুশি। ট্রাম্পের জয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে মাস্ককন্যা। তিনি স্যোসাল মিডিয়াতে তার আতঙ্কের কথা শেয়ার করে জানান, আমেরিকায় তাঁর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। তাই আগামীদিনে তিনি আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে চান। মাস্কের রূপান্তরকামী কন্যার সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক নেই তাঁর বাবার। রূপান্তরকামীদের প্রবল বিরোধী ট্রাম্প ফের ফিরে এসেছেন কুর্সিতে। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মাস্ক কন্যা ভিভিয়ান। সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি লেখেন, “যদিও উনি মাত্র ৪ বছর ক্ষমতায় থাকবেন, হয়তো রূপান্তরকামীদের উপর আচমকাই কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না। কিন্তু যেসমস্ত মানুষ বিপুল ভোট দিয়ে ট্রাম্পকে জিতিয়েছেন, তাঁরা তো থাকবেনই।”আমেরিকা ছাড়ার তালিকায় উঠে আসছে আরও নাম যেমন শ্যারন স্টোন। এই অভিনেত্রী আমেরিকা ছেড়ে ইতালি চলে যেতে চাইছেন। সেখানে তাঁর একটি বাড়িও আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের নাম না করেই শ্যারন বলেছিলেন, “এই প্রথম এমন কাউকে দেখলাম, যিনি এত ঘৃণা ও অত্যাচারের পরিবেশের মধ্যে থেকেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামতে পেরেছেন।” এছাড়াও মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা চের বরাবরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। চের বলেছিলেন, “গতবার আমার আলসার হয়ে যাচ্ছিল। এ বারও যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসেন, আমাকে দেশে ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে।”এরই মধ্যে আমেরিকা ছেড়েছেন ৫৪ বছর বয়সি ব্রিটিশ অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার। জুলাই মাসেই তিনি ট্রাম্প জেতার আঁচ করেন আর তখনই তিনি জানান,“ট্রাম্প এলে আমি হয়তো আর ফিরব না।” অন্যদিকে ব্রিটিশ অভিনেত্রী সোফি টার্নার ট্রাম্পের জয়ের পর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন মুলুক থেকে চলে যাবেন জন্মস্থান ব্রিটেনে।