যত কাণ্ড আরজিকরে! তিলোত্তমা কান্ডের আবহে বারবার সামনে এসেছে আরজিকরের মর্গে দূর্নীতির অভিযোগ। এবার দুটি ভিডিও সেই অভিযোগকে আরও উস্কে দিল।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: ডোম পরীক্ষা করছে মৃতদেহের সেই রিপোর্ট নিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট লিখছেন চিকিৎসক, এমনই এক অভিযোগ তৈরি হয়েছে আরজিকরে।সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মর্গের দু’টি ভাইরাল ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আরপ্লাস নিউজ) ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ঠিক কি এমন আছে সেই ভিডিওতে ??
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মর্গের মেঝেতে শোয়ানো এক তরুণীর মৃতদেহ। গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। সেই ফাঁস এবং দেহের বাইরের বিভিন্ন চিহ্ন পরীক্ষা করছেন দু’জন যুবক। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করে বিভিন্ন তথ্য নথিভুক্ত করছেন আরও এক জন।
আরেক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মর্গের অফিসে টেবিলের সামনে এপ্রন পরে দাঁড়িয়ে এক জন। সামনে চিরকুট হাতে এক যুবক। তার থেকে ময়না তদন্ত হওয়া এক মৃতের ওজন, মাথায় কোথায় কী আঘাত সমস্ত কিছু শুনে নথিভুক্ত করছেন ওই ব্যক্তি। লেখা শেষ হতেই তিনি বেরিয়ে গেলেন।
দিনের পর দিন এই ভাবে ওই মর্গে তৈরি হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এমনই অভিযোগ। কিন্তু প্রকাশিত ভিডিয়োর ওই দু’টি দৃশ্যে যাদের দেখা গেল, তারা কারা? খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে তরুণীর দেহ পরীক্ষা করা দুই যুবক পেশায় ডোম। তাদের থেকে জেনে কাগজে লিখতে থাকা এবং চিরকুট দেখে তথ্য নথিভুক্ত করানো যুবক আর জি কর মর্গের হেড ডোম সন্তোষ মল্লিক। আর, ডোমের কথা শুনে যিনি ময়না তদন্তের রিপোর্ট লিখলেন, এপ্রন পরা সেই ব্যক্তি ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী। সেই কারণে এই ভিডিয়ো দেখে প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে এক জন ডোমের উপরে ভরসা করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন এক জন সিনিয়র চিকিৎসক?
প্রশ্ন উঠছে কিছুই কি জানতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? ইতিমধ্যে খবর সম্প্রচার হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।