মহাকাশে মাত্র আট দিন থাকার কথা ছিল সুনীতা এবং ব্যারি বুচ উইলিয়ামসের যা দীর্ঘায়িত হতে হতে কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছে, থাকতে হবে আরও কয়েক মাস। এই আবহেই সুনীতার যে ছবি সামনে এল তা দেখে ভয়ে শিউরে উঠছেন সকলেই। সুনীতার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত নাসাও।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: চোখ-মুখ কার্যত শুকিয়ে ছোট হয়ে গিয়েছে, ওজন দ্রুত কমে গিয়ে রোগা হয়ে গেছেন অনেকটাই,হাড়ের ওপর শুধু চামড়া বসানো- সুনীতা উইলিয়ামসের এহেন ছবি দেখে চিন্তা করারই কথা। আর সেটাই হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে মহাকাশে আদৌ সুস্থ আছেন সুনীতারা?
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতা এবং ব্যারির একটি ছবি সামনে আসে, যা দেখে আঁতকে ওঠেন সকলে। কারণ ছবিতে সুনীতাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শীর্ণকায় দেখায়। চোখ-মুখ কার্যত শুকিয়ে ছোট হয়ে গিয়েছে বলে চোখে পড়ে। সুনীতার পাশে থাকা ব্যারিরও স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দীর্ঘ মহাকাশ সফরের কারণে তাদের এই শারীরিক অবনতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে নাসারও। নাসার এক কর্তা মনে করছেন তাঁর ওজন দ্রুত স্থিতিশীল করা দরকার এবং এই মুহূর্তে সুনীতাদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে ব্যারির ওপরেও।
সুনীতারা যখন মহাকাশে পাড়ি দিলেন তখন তার ওজন ছিল ১৪০ পাউন্ড অর্থাৎ ৬৩.৫০০ কেজি। দীর্ঘ এত মাস মহাকাশযানে তার ডায়েটে ক্যালোরিযুক্ত খাবারের অভাব রয়েছে। এখনও হাই ক্যালোরির খাবার খেলে আগের স্বাস্থ্যে ফিরে যাওয়া সম্ভব। তবে মহাকাশযানে চিকিৎসক রয়েছেন। আরও চারমাসের পর্যাপ্ত খাবার মজুত রয়েছে।
চলতি বছরের জুন মাসেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যান সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। নাসার বোয়িং ক্রু ফ্লাইট টেস্টের অংশ হিসাবে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে যান তারা। তাদের ছাড়াই ফিরে আসছে বোয়িং স্টারলাইনার। এই মহাকাশযানটিতে গোলযোগ দেখা দেওয়াতেই পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের।নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আট মাস পর অর্থাৎ আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ফিরবেন দুই মহাকাশচারী।