সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- দ্বাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যে দেখা দিল ফাটল। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এবার একাধিক ফাটলের দেখা মিলল। বিষয়টি নজরে আসতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছে ওড়িশা প্রশাসন। পুরীর মন্দিরের সুরক্ষা ও স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (archeological survey of India) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ওড়িশা প্রশাসন। মন্দির সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। পুরীর মন্দির একাধিক ভাগে বিভক্ত। প্রতি ভাগের আলাদা নাম রয়েছে। মূল মন্দিরের যেখানে ভগবানকে নিত্য ভোগ দেওয়া হয় সেই স্থানকে বলে আনন্দ বাজার। এই আনন্দ বাজার থেকে মেঘনাদ পাচেরি পর্যন্ত একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। মন্দিরের বহির্বিভাগের দেওয়ালকেই মেঘনাদ পাচেরি বলে। পাচেরি অর্থ প্রাচীর। এ মন্দিরের দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় শ্যাওলা জন্মেছে যা মন্দিরের কাঠামো ক্ষতি করার জন্য দায়ী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরের গায়ে, দেওয়ালে শ্যাওলাও জম্মেছে, যা জানান দিচ্ছে কাঠামোর ভিতরে জল ঢুকছে। এতে মন্দিরের কাঠামোয় আরও ক্ষতি হতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে বাইরের মেঘনাদ পাচেরি। ফাটল ও শ্যাওলা ধরা দেখেই মন্দির কর্তৃপক্ষ ওড়িশা প্রশাসনকে জানিয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (ASI)। পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের প্রথম রাজা অনন্তবর্মন চোদাগঙ্গার দ্বারা বর্তমান নির্মিত মন্দিরটি কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় তা নিয়ে প্রশাসনের সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে জানা গেছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে রত্ন ভাণ্ডার খোলার সময় দেখা গেছিল বেশ কয়েক জায়গা থেকে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়তে। মন্দিরের দেওয়ালে ফাটলের খবর সামনে আসতেই ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার জন্য এমনটা হয়নি তো, বলে আতঙ্কিত হন অনেকেই। যদিও মন্দিরের পুরোহিতরা এই যুক্তি মানতে নারাজ।