ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: আমাদের কিছু চুরি হলে বা খোয়া গেলে আমরা অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যাই। আর সেই থানা থেকেই চুরি গেল আস্ত গাড়ি। সম্প্রতি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে হাইকোর্টে এমনই একটি মামলার শুনানি ছিল। সম্পূর্ণ ঘটনায় স্তম্ভিত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলাটির শুনানিতে তিঁনি বলেন, ‘এর আগে নিউ টাউন, রাজারহাট। এবার বাগুইআটি। বিধাননগর কমিশনারেট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, গোটা কমিশনারেটটাই একেবারে গিয়েছে!’ এরপরেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে বড় নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি ঘোষ তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিঁনি কমিশনারেটের প্রধান, সেই কারণে তিনি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। থানার ভেতর থেকে কীভাবে গাড়ি চুরি হয়, পুলিশের এই প্রসঙ্গে কী ভূমিকা ছিল? সেটা নিয়ে পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, ২০১৭ সাল থেকে এখনও অবধি বাগুইআটি থানায় যতজন আইসি ও যতজন আইও দায়িত্বে ছিলেন, সবার বিরুদ্ধে সিপিকে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য আগামী ১২ ডিসেম্বর রিপোর্ট আকারে জমা দেবেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার।
ঘটনাটি হল ২০১৭ সালে বাগুইআটি থানার পুলিশ একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে এনেছিল। থানা চত্বরেই সেটি রাখা ছিল। এরপর সেই গাড়ি একদিন চুরি হয়ে যায়। থানা থেকে গাড়ি চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ নিজেই থানায় FIR করে। ২০২২ সালে সেই FIR দায়ের করা হয়। এবার সেই মামলাতেই হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘পুলিশ নিজেই চুরির অভিযোগ করেছে?’ রিপোর্ট দেখার পর জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘এই FIR আসলে আই ওয়াশ। পুলিশ নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওই FIR করে রেখেছে’।