ফের রেফার রোগের বলি এক রোগী। যার জেরে প্রাণটাই চলে গেল তার। কাঠগড়ায় এসএসকেএম হাসপাতাল। প্রশ্ন উঠছে যে রেফারাল সিস্টেম নিয়ে এত লড়াই জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই সিস্টেম আদৌ কাজ করছে?
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এসএসকেএম হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে খবর রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হলে কর্তৃপক্ষ বেড নেই বলে জানায়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস ও কলকাতা মেডিক্যালে কিন্তু ভর্তি করা যায়নি। আজ সকালে রোগীকে নিয়েই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যায় পরিবাত। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় রোগীকে ফের এসএসকেএমে আনা হয়। পরিবারের অভিযোগ সকালে হাসপাতালে ঢোকানোর সময় রোগী সেন্সলেস হয়ে যান । পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেনারেল সার্জারির জন্য আউটডোরে পাঠানো হয় রোগীকে। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়।
রোগীর পরিবারের স্পষ্ট দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়ে দেয়, বেড নেই তাই তাদের রোগীকে ভর্তি নেওয়া যাবে না। এরপর এনআরএস এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও রোগীকে নিয়ে যায় তার পরিবার। কিন্তু কোথাও ভর্তি করানো যায়নি তাকে।
একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও কাজ না হওয়ায় রোগীর পরিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় রোগীকে ফের নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। সেখানেও বিপত্তি। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে ঢোকানোর সময় রোগী সেন্সলেস হয়ে যান। পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। যেখানে জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার সুপরিকঠামো, রেফারেল সিস্টেম নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাহলে কি সেই কাজ কিছুই এগোয়নি? উত্তর কিন্তু অধরাই।