নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের পদ খালি। নেই স্থায়ী উপাচার্য। এবার শূন্য হতে চলেছে স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদও। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অন্তর্বর্তিকালীন।
সহ-উপাচার্যের দু’টি পদের মধ্যে একটি শূন্য। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফাঁকা ফিন্যান্স অফিসারের পদ। নেই স্থায়ী ডিন। এতগুলো পদখালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালানোয় অসুবিধা হচ্ছে বলে মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমহলের একাংশের। ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন স্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অবসর নেওয়ার পরে এখনও স্থায়ী উপাচার্য পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার পালন করছেন ভাস্কর গুপ্ত। এবার ৩০ নভেম্বর শেষ হল যাদবপুরের স্থায়ী রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাজের সময়কাল। এর পরে ওই দায়িত্ব সামলাবেন কলা বিভাগের সচিব ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ইন্দ্রজিৎবাবু বিজ্ঞান বিভাগের সচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এই দুই দায়িত্বের সঙ্গে ইন্দ্রজিৎঅতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে রেজিস্ট্রারের পদে কাজ করবেন। তাঁকে আগামী ছ’মাস অথবা নতুন স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ— যেটি আগে হবে, তত দিন পর্যন্ত কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। নিয়ম অনুযায়ী, এর পরে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদ যেমন খালি হল প্রসঙ্গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খালি ফিন্যান্স অফিসারের পদ। সূত্রের খবর, স্থায়ী ফিন্যান্স অফিসার পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এখনও কাউকে নেওয়া হয়নি। ফিন্যান্স অফিসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যুগ্ম ফিন্যান্স অফিসার। সেই সঙ্গে খালি রয়েছে একজন সহ উপাচার্যের পদও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, শুধু আধিকারিকদের ক্ষেত্রে নয়, একই সঙ্গে স্থায়ী শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাও কমে আসছে। এমন সমস্যা চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালানোই কিছু দিন পরে অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি দেশ বা বিশ্বের মধ্যে র্যাঙ্কিং এও এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।