নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ২০২৫ সাল থেকে বদলে যাচ্ছে স্কুলের রিপোর্ট কার্ড।প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের সার্বিক অগ্রগতির রূপরেখা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। এই নিয়ে জেলা ভিত্তিক ডিআই দের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে শিক্ষাদফতর। এখন প্রশ্ন হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডটি কেমন হতে পারে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর,পুস্তিকা আকারে হবে রিপোর্ট কার্ডটি। যেখানে শিক্ষার্থীদের নাম, ঠিকানা, আধার নম্বর, রক্তের গ্রুপ-সহ নানা তথ্য উল্লিখিত থাকবে। অর্থাৎ সেখানে যেমন একদিকে জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য থাকবে, তেমনি একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে কী ভাবে নিজেকে তুলে ধরছে, তা-ও উল্লেখ করা হবে। এই রিপোর্ট কার্ড ছাত্র-ছাত্রীদের বিকাশে ও অগ্রগতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশে। এটি শিক্ষার্থীদের স্ব-মূল্যায়ন করার সুযোগও দেবে বলেইমত শিক্ষকমহলের। তবে ২০২৪ না হয়ে ২০২৫ সাল থেকে এই রিপোর্ট কার্ডটি চালু হাওয়ায় খুশি শিক্ষক- শিক্ষিকারা।
আগামী ২১ ও ২২ নভেম্বর দুদিন হবে এই বৈঠক। ২১নভেম্বর হবে আলিপুর দোয়ার, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া,পূর্ব বর্ধমান , পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, শিলিগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর। ২২নভেম্বর হবে বীরভূম, ব্যারাকপুর, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর। অনলাইন হবে এই বৈঠক। তারপর স্কুলগুলি এবিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকমহল। তবে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য,”হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড যেভাবে তৈরি করা হয়েছে তাতে একটি ছাত্রের শুধু শিক্ষাগত দিক নয়, সার্বিক দিকগুলি উঠে আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত উপযোগী। শিক্ষাদানের কাজ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের এই সার্বিক দিক তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে শিক্ষকদের। কিন্তু তার জন্য সর্বাগ্রে যেটি দরকার সেটি হলো বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী এবং উপযুক্ত পরিকাঠামো। তার জন্য বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষা বহির্ভূত অন্যান্য হাজার কাজ থেকে শিক্ষকদের সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক ও গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করতে হবে। না হলে হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডের মহৎ উদ্দেশ্য সফল হবে না, ব্যর্থ হবে। এই দিকগুলি শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্য সরকারকে ভেবে দেখতে হবে।”