সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বিগত কয়েক দিন আগে বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (IPO) বা আইপিও ছাড়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল অনলাইন ইন্সট্যান্ট ডেলিভারি সংস্থা সুইগি। খাবার বা সামগ্রী ইনস্ট্যান্ট ডেলিভারির মতোই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের ইনস্ট্যান্ট ডেলিভারি দিল সংস্থা। লিস্টিং হতেই সুইগির ৫০০ কর্মী হয়ে গেলেন কোটিপতি। এই ৫০০ জনের তালিকায় আছে বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মীরা। অবশেষে বাজারে এসেছে সুইগির আইপিও। শেয়ারের প্রাথমিক দাম ধার্য হয়েছে ৩৭১ টাকা থেকে ৩৯০ টাকার মধ্যে। ৯০০০ কোটির এমপ্লয়ি স্টক অপশন প্ল্যানও আনা হয়েছে সুইগির ৫০০০ কর্মীর জন্য। এই ৫০০০ কর্মী পেআউট থেকে লাভবান হবেন। তারই শেয়ার হোল্ডিং থেকেই ৫০০ কর্মী কোটিপতি হতে চলেছেন অর্থাৎ তাঁদের কাছে যে শেয়ার রয়েছে, তার মূল্য কোটি টাকায় পৌছবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে আরও উৎসাহ দেওয়া হয়। সুইগির কর্মীরা শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রেও বাড়তি সুযোগ- সুবিধা পাবে। সাধারণত আইপিও-র (IPO) ক্ষেত্রে ১ বছর পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করা যায় না। তবে গত জুলাইয়ে ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি (SEBI) থেকে সুইগি অনুমতি নিয়েছে, যাতে ১ মাসের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করতে পারে সুইগি কর্মীরা। ২০২১ সালে পেটিএম যখন আইপিও এনেছিল, সেই সময় ৩৫০ জন কর্মী কোটিপতি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় এনএসই-তে সুইগির শেয়ার মূল্য ছিল ৪২১ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমানে কোম্পানির মার্কেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৮৯ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। ১১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার সুইগির প্রাথমিক অফারে শেয়ারে প্রায় ৩.৫৯ গুণ বেশি সাবস্ক্রিপশন হয়। তবে একাধিক অনলাইন ডেলিভারী অ্যাপের প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রেখে দীর্ঘমেয়াদে সুইগির শেয়ার নিয়ে মানুষের উন্মাদনা কতটা থাকবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।