সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এ আর রহমানের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার ঠিক পরেই নিজের সম্পর্ক বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন আর রহমানের বেস গিটারিস্ট মোহিনী দে। তারপরই চলছে জল্পনা তাহলে কি এর নেপথ্যে কোন অন্য গল্প আছে?
এই মুহুর্তে গিটারিস্ট মোহিনী দে রাতারাতি খবরের শিরোনামে। যার মূল কারণ এআর রহমানের সঙ্গে একই দিনে তারও বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা। এ পর্যন্ত এক রকম ছিল, রহমানের সহযোগী হিসাবে ৪০০টির বেশি শো করেছেন তিনি। রহমানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুরকার স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টানেন তিনিও। তাতেই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে শুরু করেন অনেকে।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন মোহিনী নিজেই। নিজের ইনস্টাগ্রামে মোহিনী পোস্ট করেন, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রচুর ফোন পাচ্ছি। আমি জানি তারা কী জানতে চান। অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে সকলকে না বলছি। কারণ গুজবে পাত্তা দেওয়ার মতো সময় আমার নেই। এই ধরনের গুজবে কান দিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করতে চাই না। আশা করব, আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করবেন।’’
এর আগে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের বিবৃতিতে মোহিনী লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমি এবং মার্ক আলাদা হচ্ছি। আমাদের পরিবার, বন্ধুদের জানাতে চাই পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি আমরা দু’জনেই। তবে বিচ্ছেদের পরও একে অপরের বন্ধু থাকব। কিন্তু আমাদের দু’জনের আকাঙ্ক্ষা যেমন ভিন্ন তেমন জীবনের লক্ষ্যও আলাদা তাই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত। বিচ্ছেদ হলেও যে কাজগুলি হাতে রয়েছে, সেগুলি তো করব বটেই। ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব।”
তবে রহমানের সন্তানরা বাবার পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তার মেয়ে রহিমা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সবসময় মনে রাখবেন, গুজবের জন্ম দেয় নিন্দকেরা। ছড়িয়ে দেয় বোকারা। সেটা বিশ্বাস করে নির্বোধরা।’ অন্যদিকে বাবার পাশে দাড়িয়েছেন ছেলে আমিনও। লিখেছেন, ‘আমার বাবা একজন মহান মানুষ। সেটা শুধু সমাজের প্রতি তার অসামান্য অবদানের জন্য নয়। যে সমস্ত শিক্ষা,জ্ঞান, ভালবাসা এত বছর ধরে তিনি অর্জন করেছেন নিজের কাজের মাধ্যমে, এই সমস্ত কিছুর জন্যই। খুব খারাপ লাগছে এমন অর্থহীন গুজব চারিদিকে রটছে এটা দেখে। আমাদের সত্যি কথার সম্মান করা উচিত আর অন্য় কারও জীবন নিয়ে কথা বলার আগে ভেবে দেখা উচিত। দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না। আমাদের একজন মানুষকে, তার জীবনকে সম্মান দেওয়া উচিত।’