ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের অন্তর্গত প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত মনীষীদের নামে নামাঙ্কিত। শ্রীরামকৃষ্ণ,স্বামী বিবেকানন্দ,ঋষি বঙ্কিম,নেতাজী ও বাপুজীর নামেও রয়েছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। যেমন রয়েছে রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত যা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে নামাঙ্কিত।
বর্তমান সুন্দরবন জেলা পুলিশের অধীনে ঢোলাহাট থানা এলাকায় কালনাগিনী নদী বেষ্টিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত। এবার সেই গ্রামেই রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিতে বসল কবিগুরুর পুর্নাবয়ব দন্ডায়মান মুর্তি।রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্মথপুর মৌজায় বিজননগর গ্রামে যুগাবতার আচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের ভাবাদর্শে গড়ে ওঠেছে মন্মথপুর প্রণব মন্দির । যেখান থেকে সমাজের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষদের নিয়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সেবাকার্য ও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যাবস্থা, মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নের জন্য সারা বছর নানা অনুষ্ঠান হয়।এবার ৭ম বাৎসরিক মহোৎসব অনুষ্ঠীত হয় দু দিন ধরে।
এ উপলক্ষে রবিবার সকালে মহাভিষেক ও ১২৯টি পদ সহযোগে অন্নকূট হয়।এরপর রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের চার মাথায় চারটি পৃথক স্থানে চারটি স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবেশদ্বার বাঁশতলা কালনাগিনী নদী ঘাটে পঞ্চগঙ্গা আরতি বেদী ও স্বামী প্রণবানন্দ সাধারণ পাঠাগার এবং স্বামী প্রণবানন্দ যোগ মন্দিরের উদ্বোধন করেন সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ। তিনি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। সঙ্ঘের রীতি নীতি ও আধ্যাত্মিক নিয়ম মেনে প্রতিটি মূর্তি ১০৮ ঘট গঙ্গার জল দিয়ে মায়েরা আলাদা করে মূর্তি গুলিকে শোধন করেন ।
অনুষ্ঠানে সঙ্ঘের সন্ন্যাসীরা ছাড়াও বিভিন্ন মঠ মিশনের সন্ন্যাসীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হয় পঞ্চ যজ্ঞের মাধ্যমে।