নাটক দুনিয়ার আজ ভীষণ মন খারাপ। বিনোদন জগত হারাল এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে। মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সকলেই। রবীন্দ্র সদনে তাকে দেখতে শেষ বার ভিড় জমল রবীন্দ্র সদনে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: মনোজ মিত্রের প্রয়াণের খবর পেতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল তার বাসভবনে। পাড়াপ্রতিবেশীরা বলছেন সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে ভালো বাসতেন মনোজ বাবু। তাই তার শেষ যাত্রাতেও মিলেমিশে গেল অনেক কিছুই। চোখের জল ফুলের মালা অগুনতি মানুষের শ্রদ্ধা গান স্যালুট সব কিছু মিলেমিশে এক হয়ে গিয়ে নভেম্বরের এক মন খারাপের বিকালে পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার জন্য রওনা হলেন মনোজ মিত্র।
এদিন সকালে তার প্রয়াণের খবর পেতেই হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন ইন্দ্রনীল বসুও। আসেন সুজিত বসুও। মনোজ বাবুর সহকর্মীদের দেখতে পাওয়া যায়। শোকস্তব্ধ হাসপাতালের সকলেই। তারাও তো এই লড়াই লড়েছিলেন কিন্তু আজ পরাজয় হল সকলেরই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্স হ্যান্ডেলে তার শোকবার্তা জানান।
সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার বাসভবনে। শেষ বারের জন্য নিজের বাড়িতে গেলেন মনোজ। তবে এবার একেবারে নিথর হয়ে। বাড়ির দেওয়ালরা দেখল তাদের বাড়ির মূল স্তম্ভ কেমন নিশ্চুপে শুয়ে। আর উঠবেন না আর কথা বলবেন না।
এরপর তার নাট্য সংস্থা হয়ে একাডেমি হয়ে তাকে আনা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে ততক্ষণে এসে গেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ইন্দ্রনীল সেন দেবাশীষ কুমার। তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সকলেই। আসেন ব্রাত্য বসুও। বাম কংগ্রেসের তরফেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদারও আসেন শেষ বার মনোজ বাবুকে দেখতে।এরপর গান স্যালুট৷ তারপর আর একটু অপেক্ষা ব্যস গাড়িতে তোলা হল তার মরদেহ। অন্য দুনিয়ার দিকে রওনা হলেন বাঞ্ছা, ইহলোকের বাগানে তার আর পা পড়বে না।