সাংবাদিক : সুচারু মিত্র লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠকে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন “সাবকা সাথ সাবকা বিকাশ নয়”। যো হামারে সাথ উনকা বিকাশ কারনা হে। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে বিতর্ক দাণা বেঁধেছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছিল এই মন্তব্য বিরোধী দলনেতার একান্তই ব্যক্তিগত। দল এটাকে অনুমোদন করে না। ধর্মের ভিত্তিতে বিজেপি কোন রাজনীতি করতে চায় না বলেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিল। সম্প্রতি অমিত শাহের নির্দেশে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। আর বাংলাতেও সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে জোড় কদমে। তবে শুধু হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কের দিকেই তাকিয়ে নয়। মুসলিম অর্থাৎ সংখ্যা লঘু বেল্টের দিকেও তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা নেমে পড়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। আর সেই অভিযানে নেমে তারা তিনটি ক্যাটাগরি তৈরি করেছে। যেখানে ৫০ থেকে ৭০% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন সেই জোনকে ভাগ করা হয়েছে A জোন হিসাবে। যেখানে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন, সেই জোন কে ভাগ করা হয়েছে B জোন হিসাবে। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন, সেই জোনকে ভাগ করা হয়েছে C জোন হিসাবে। আর সেখানে ধর্মের ভিত্তিতে নয়, উন্নয়ন এবং বিজেপির আসু উদ্দেশ্য কি এবং সেটাকে সামনে রেখেই প্রচার চলছে, এবং সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নেতৃত্ব বিশেষ করে চার্লস নন্দী মনে করেন এবারের এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকেও ভালো প্রতিনিধিত্ব উঠে আসবে। তারাও যথেষ্ট আগ্রহ দেখাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আসবার জন্য। তারা অনেকটাই আশাবাদী। সংখ্যালঘু মোর্চা ও এবার ভালো সদস্য সংগ্রহ অভিযান করবে। আর তার এফেক্ট করবে ভোটের ফলাফলে। ২৬ শে তা বোঝা যাবে বলে পরিষ্কার করে দিচ্ছেন নেতা চার্লস নন্দী।