ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল দুদিন পরেই নির্বাচন। এই বিষয়গুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আদালত এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারে।
আবেদনকারীর দাবি ছিল সিতাই কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের পুজাবকাশকালীন একক বেঞ্চ অন্য একটি মামলায় নির্বাচন কমিশনকে এই অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ৪ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঐ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ। সেই মামলাটি অন্য বেঞ্চে বিচারাধীন। ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভানুদেব রায় নামে এক ব্যাক্তি মামলা দায়ের করেন একই দাবিতে।
মামলাকারীর দাবি, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সেজন্য সব দলের প্রার্থীরা জাতিগত শংসাপত্র মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় কি দিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলেও অবজারভাররা তা দেখাতে রাজি হননি।
এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সঙ্গীতা। এবং হলফনামায় স্বামীর নাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া লিখেছিলেন। যিনি বর্তমানে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের প্রয়াত পিতার নাম উল্লেখ করেছেন। সঙ্গীতা রায়ের বাবাও সংরক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে পড়েননা।সম্পূর্ণ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে তার মনোনয়ন পত্র খারিজ করা হোক।