সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ইরানে বাড়ির বাইরে বেরোলে মহিলাদের হিজাব ও ঢিলেঢালা পোশাক বাধ্যতামূলক। তবে এই আইনের বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদী মহিলারা। চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এবার এই প্রতিবাদে রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ ইরান প্রশাসনের। যে মহিলা বাইরে বেরোনোর সময় হিজাব পড়তে চাইবে না তাঁদের জন্য ইরান সরকারের তরফ থেকে বিশেষ মানসিক চিকিৎসার ক্লিনিক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার নারী ও পরিবারকল্যাণ দফতর। কয়েকদিন আগে ইরানে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিজের পোশাক খুলে ফেলে, শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরেছিলেন। সেই ছবি- ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এরপরেই ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে যাতে কোনও প্রকার অত্যাচার না করা হয়ে সেই দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন হিজাব বিরোধী মহিলারা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। ইরান প্রশাসনের এই ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইরানে হিজাব নিয়ে যে নিয়ম আনা হয়েছে তা বলপূর্বক মহিলাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এই ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিবাদীদের। অন্তর্বাস পরে ঘোরা ওই তরুণীকেও এই রকমই একটি ক্লিনিকে রাখা হয়েছে বলে দাবি মহিলাদের। ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি করে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসন। কেন মহিলারা হিজাব পরতে চাইছেন না, তা বোঝার জন্যই এই ক্লিনিক করা বলে দাবি প্রশাসনের। এই সব ক্লিনিকে মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা করা হবে, কাউন্সেলিং করার ব্যবস্থাও থাকছে বলে জানা গেছে। মানসিক নির্যাতন, মগজ ধোলাইয়ের জন্যই এই সব ক্লিনিক খুলেছে সরকার বলে দাবি হিজাব বিরোধী মহিলাদের।