সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- গাড়ির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা। বিগত ১০ বছরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ লক্ষ ৩ হাজার মানুষের। চাঞ্চল্যকরভাবে যা চণ্ডীগড় এবং ভুবনেশ্বরের বর্তমান জনসংখ্যার সমান।
২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১২ লক্ষ ১ হাজার। বর্তমানে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষেরও বেশি, অর্থাৎ ১০ বছরে মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে ক্রমাগত “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” প্রচার চালানোর পরেও কোনওভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার দায় স্বীকারও করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি ১০ হাজার কিলোমিটারে আড়াইশো জনের পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে। এই সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ায় ১১জন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনে যথাক্রমে ৫৭ ও ১১৯ জন। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে দেশে নথিভুক্ত গাড়ির সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৪ কোটি। গাড়ির পাশাপাশি বেড়েছে রাস্তাও। তবে সেই সংখ্যা গাড়ির তুলনায় কম। ২০১৪ সালে দেশে রাস্তা ছিল ৪৮ লাখ কিলোমিটার। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৬৩ লাখ কিলোমিটার। ২০২৪ সালে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক রাস্তা নিয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান এখনও দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, দ্বিগুণ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হলেও এখনও তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। একদিকে বেপরোয়া গাড়ি চালানো অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ি। সেই তুলনায় রাস্তা বাড়ছে না। এই রকম একাধিক কারণ রয়েছে পথ দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সব সময় হাসপাতাল না পাওয়ায় পথ দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে পৌছনোর আগে রক্তপাতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। এই রকম একাধিক কারণের জন্য দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উন্নত দেশগুলিতে দ্রুত চিকিৎসার কারণে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কম বলেও মতামত বিভিন্ন মহলের।