অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের উত্তপ্ত, উত্তেজনা। উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই ৩৭০ ধারা। রীতিমতো চলল হাতাহাতি। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের। তুলকালাম পরিস্থিতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। কী থেকে এই উত্তেজনার সূত্রপাত। কেনই বা মুলতুবি করতে হল অধিবেশন ?
সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে জিতে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গডে়ছে ন্যাশনাল কনফারেন্স বা এনসি ও কংগ্রেসের জোট। নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ ছিল সেই ইস্তেফারে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। এমন আবহে ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রত্যাবর্তনের দাবিতে তুলকালাম জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা।
৩৭০ ইস্যুতে তুলকালাম জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। নবগঠিত বিধানসভায় বেনজির হাতাহাতি শাসক ও বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বিরোধী শিবিরের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জেরে থমকে যায় বিধানসভার অধিবেশন।
কেন হট্টগোল ?
বিধানসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাবর্তনের দাবি
দাবি ইঞ্জিনিয়র রশিদের ভাইয়ের
দাবি কাশ্মীরের আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখের
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে ব্যানার তুলে বিক্ষোভ
সেই পোস্টারে আপত্তি জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। তারপরেই বিধায়কদের তরফে ওঠে স্লোগান। শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের হাতাহাতিতে তুলকালাম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বিধানসভার মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের।
৩৭০-এ গণ্ডগোল
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাবর্তন প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়
বুধবারই প্রস্তাব পাশ করা হয় বিধানসভায়
বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে শাসকদল এনসি
উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হোক। এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করায় ওমর আবদুল্লার সরকার। বিজেপির প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়।
প্রস্তাবে উল্লেখ
৩৭০ অনুচ্ছেদ ফেরাতে আলোচনা প্রয়োজন
জাতীয় সংহতি বজায় এবং কাশ্মীরবাসীর স্বার্থ জড়িয়ে
এর আগে ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫-এ ধারা ফেরানোর দাবি তুলে প্রস্তাব এনেছিল পিডিপি। দাবি করা হয়েছিল এই দুটি ধারা প্রত্যাহার করা অসাংবিধানিক। ২০১৯ সালের জম্মু ও কাশ্মীর রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্টের বিরোধিতাও করা হয়। এতে সংবিধানে দেওয়া অধিকার ভাঙা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই প্রস্তাবে সই করেছিলেন শেখ খুরশিদ। আবারও অনুচ্ছেদ ৩৭০ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা।