অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৭ বছরে পরে ট্রাম্প নিয়ে হঠাৎ ভোল বদল মহম্মদ ইউনুসের। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়কে সূর্যগ্রহণের সঙ্গে তুলনা। আর এবারে একেবারে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেবেন ইউনূস। একেবারে গদগদ সুর তাঁর গলায়, কেন এই ভোলবদল.. তাহলে কী ট্রাম্প জয়ে সর্বনাশের গন্ধ পাচ্ছেন ইউনুস? অন্যদিকে হাসিনার পৌষমাস?
আমেরিকার সাদা বাড়ির কব্জা ফের বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। জনমত সমীক্ষার ফেরত সমীক্ষাও মুখ থুবড়ে পড়ল। যুদ্ধের ময়দানে নেমে শেয়ানে শেয়ানে লড়াই চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার শিকার করেন কমলা হ্যারিস। জয়ের পরে ভুরি ভুরি শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে দুই শুভেচ্ছা বার্তা।
১. বাংলাদেশ ছাড়া হাসিনার শুভেচ্ছাবার্তা
২. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছাবার্তা
চুড়ান্ত ঘোষণার আগেভাগেই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দেন মহম্মদ ইউনুস।
ট্রাম্প শুভেচ্ছায় ইউনুস…
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায়
আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে
আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি
শুভেচ্ছাবার্তার পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, আপনার নেতৃত্ব ও লক্ষ্য আমেরিকার জনগনের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। ইউনুস আরও বলেন, যে তিনি নিশ্চিত আমেরিকা উন্নতি করবে ও বিশ্বজুড়ে অনুপ্রাণিত করবে।
ইউনুসের ভোল-বদল ?
দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন মসনদে বসার পরে ইউনুসের শুভেচ্ছাবার্তায় কাটছে কি ২০১৬ সালের ফাঁড়া? ইউনুস যে ট্রাম্প বিরোধী, তা তাঁর ২০১৬ সালের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়।
৭ বছর আগে ইউনুস কী বলেছিলেন?
চলুন ফ্ল্যাশ ব্যাকে যাওয়া যাক। ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার পরে মহম্মদ ইউনুস প্যারিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বিরোধী নানা কথা তুলে ধরেন। বলেছিলেন ট্রাম্পের জয় সূর্যগ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে। আত্মশক্তিকে যেন দুর্বল না করতে পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জল এখানেই থেমে থাকেনি। পরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন…
ইউনুস প্রসঙ্গে ট্রাম্প
“ঢাকার মাইক্রো ফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায় ?’
“শুনেছি তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন?’
সেবারে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে জয় পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এটা কারোরই অজানা নয় যে. ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা ভালো মতোই। সময় গড়িয়েছে। ২০১৬-র পর ২০২৪-এ ফের জয় হাসিল করল ট্রাম্প। এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তিনি। তার শুভেচ্ছায় ধরা পড়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা। তবে তাতে কি ২০১৬-র ক্ষত সারানো যাবে ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চারিদিকে যখন ট্রাম্প-ইউনুসের তীক্ত সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন দানা বাঁধছে, তখন সেখানে প্রলেপ দিতে ময়দানে নামতে দেখা গেল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে। ট্রাম্প ও ইউনুসের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই দাবি করলেন তিনি।কথাতেই আছে. কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ।হিসাব যা বলছে, ট্রাম্পের জয়ে যখন অস্বস্তিতে মহম্মদ ইউনূস। তাহলে কী এখানে শেখ হাসিনার পৌষমাস? ট্রাম্পকার্ডকে হাতিয়ার করে আবার কি বাংলাদেশে ফিরতে চলেছেন মুজিব কন্যা?