বাংলা আবাস যোজনার সঠিক ও নির্ভুল উপভোক্তার হদিস পেতে রাজ্য জুড়ে চলছে হাউস টু হাউস(বাড়ি বাড়ি) সার্ভে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সার্ভে হওয়ার কথা থাকলেও ‘ডানা’ ও অন্যান্য কারণে সার্ভের সময় কিছুটা বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ‘বাংলা আবাস যোজনা’র জন্য এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতিটা জেলায় চলছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারি কর্মিদের। অনেক জায়গায় অভিযোগ উঠেছে যোগ্য ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে। এমতাবস্থায় কয়েকদিন আগে রাজ্যের কৃষি ও পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে মানবিক হওয়ার নির্দেশ দেন। পঞ্চায়েত দফতরকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে জানান যাদের নাম বাদ যাচ্ছে, প্রয়োজনে সেগুলো দ্বিতীয় বার খতিয়ে দেখতে। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যেই নতুন নির্দেশিকাও জারি করেছে পঞ্চায়েত দফতর। বর্তমানে সেই কাজটাই (রি-চেক) চলছে রাজ্য জুড়ে।
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সঠিক ও নির্ভুল উপভোক্তার যে তালিকা পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে প্রায় ১১ লক্ষ নতুন উপভোক্তা বাংলা আবাস যোজনা’র আওতাধীন হতে চলছে। যদিও পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে এটাও খবর যে নতুন তালিকায় যাতে একটাও গড়মিল না থাকে তার জন্য এক একটি আবেদন একাধিকবার করে চেক করার পরই সেই নাম তালিকায় সংযোজন করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই নতুন তালিকা নিয়েও দূর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যেভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করে, নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে তারপর নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে, তাতে গড়মিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবু বাদ পড়া নাম নিয়ে দ্বিতীয় বা প্রয়োজনে তৃতীয়বার সার্ভে করা হচ্ছে। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার পর তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে ডিসেম্বর মাসেই ‘বাংলা আবাস যোজনা’র বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। ফলে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত পঞ্চায়েত দফতর।