রাজনৈতিক ময়দানে আবারও ইন্ডিয়া বনাম এনডিএ যুদ্ধ। ঝাড়খন্ডে শেষ হাসি কে হাসবে? উত্তর খুঁজতে ৪৩ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: বুধবার ঝাড়খণ্ডে চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ এবং এই দফায় ৮১ আসনে ঝাড়খণ্ডে মোট ৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। ৪৩ আসনে ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে ৬৮৩ জন প্রার্থীর। তবে মূল উপজীব্য বিষয় শেষ হাসি থাকবে কার মুখে?
প্রথম দফার ভোটে বিজেপির উল্লেখ্য প্রার্থী— প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সরাইকেলা), তার ছেলে বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা।
উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস প্রার্থী— এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমার (জামশেদপুর পূর্ব) এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ (লোহারডাগা)
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন জল্পনা সব চলছে যে ঝাড়খন্ডে কি পালাবদল ঘটবে? ঝাড়খন্ডের রাশ কি ইন্ডিয়া জোট নিজের হাতে রাখতে পারবে নাকি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ হাল ধরবে? উত্তর মিলবে ভোটের রেজাল্টেই। তবে এদিন শুরু থেকেই কড়া নিরাপত্তায় ভোট হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডে মোট আসন ৮১টি। গত পাঁচ বছর ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোট সরকার ক্ষমতায় থেকেছে। গেরুয়া শিবির এবার ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বলেই নির্বাচন পর্বে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। সেইমতো জোর প্রচার চালানো হয়েছে রাজ্য জুড়ে। শুধু তাই নয়, ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবাস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার বার ছুটে গেছেন ঝাড়খন্ডে। প্রচার সভা থেকে একদিকে হেমন্ত সোরেন এবং আরেকদিকে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানিয়েছেন জোরালো ভাবে। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সরকারের মদতে গত পাঁচ বছরে আদিবাসীদের জমি গ্রাস করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এই অভিযোগ শানিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরব বিজেপি। অন্য দিকে, অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদী সরকারকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন হেমন্তও। টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও।