সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: রবিবাসরীয় সকালে শহরে আগুন। উল্টোডাঙ্গা রেল লাইনের পাশের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। সর্বশেষ দমকলের ৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে। বস্তির প্রায় ১০-১২ টি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “সকালে উল্টোডাঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে এসেছি। আগুন লাগার খবর পেয়েই দমকল এসেছে। দমকল পৌছনোর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা দমকলকে সহযোগিতা করেছেন। স্থানীয় বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডেও এসেছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এটি অনেক বড় বস্তি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বড় ঘটনা ঘটতে পারত। দমকলের তৎপরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। যাঁরা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, স্থানীয় বিধায়ক ও পুরপ্রতিনিধিরা তাঁদের সাহায্য করবেন। পুরসভা থেকে যা সাহায্য প্রয়োজন, সেগুলি আমি দেখব। বস্তির ঘরগুলিতে তুলো, প্লাস্টিকসহ বেশ কিছু দাহ্য পদার্থ ছিল। যার ফলে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। সৌভাগ্যের বিষয় হতাহতের কোন খবর নেই”। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দমকলের তরফ থেকে কুলিং প্রসেস জারি রয়েছে। নিয়ন্ত্রণে এলেও ‘কুলিং প্রসেস’ চলছে। তাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের সৌভাগ্য, হতাহতের কোনও খবর নেই।” কি থেকে আগুনটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শর্ট সার্কিট বলেই মনে করা হচ্ছে। ফরেন্সিক তদন্ত হওয়ার পর আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বস্তির বাড়ি গুলিতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। আগুন লাগার পরই স্থানীয়দের চেষ্টায় সেগুলি বের করে আনা সম্ভব হয়। সিলিন্ডার ফেটে গেলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।