সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- শিয়ালদার বৈঠকখানা বাজার থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার ১। গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ৫ টি বন্দুকসহ ৯০ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত। অভিযুক্ত রাজাবাজারের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বৈঠকখানা বাজারে হস্তান্তর করার সময় পাকড়াও। বিহার থেকে আনা হয় আগ্নেয়াস্ত্র। শনিবার বিকেল থেকে বৈঠকখানা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওত পেতে ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। অভিযুক্ত মহম্মদ ইজরাইল খানের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল পুলিশ। ওই এলাকায় একটি দোকানে বসে রুটি তরকারি খায় অভিযুক্ত। সন্ধে নাগাদ অস্ত্রের ব্যাগসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ৩ দিন আগে আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর করার কথা ছিল। উৎসবের মরসুমে তা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে গতকাল অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযুক্ত ইজরাইলের আদি বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। রাজাবাজার এলাকার বহু বছরের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে সিঁথি এলাকায় ডাকাতি কাণ্ডে ৪ বছরের জেল হয় ইজরাইলের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হয় তাঁর। তবে রাজাবাজার এলাকা ছেড়ে বেরোয়নি ইজরাইল। রাজাবাজারের বিভিন্ন নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে থাকে অভিযুক্ত। কনস্ট্রাকশন সাইটের ঠিকা শ্রমিকের আড়ালে অপরাধমূলক কাজে হাত পাকায় সে। সূত্রের খবর, মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অত্যাধুনিক এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র বিহারের মুঙ্গের থেকে আনিয়ে কলকাতার বৈঠকখানা বাজারে হাত বদলের ছক করেছিল ইজরাইল। কি কারণে অস্ত্র শহরে আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অস্ত্র পাচার চক্রের মূল পান্ডার খোঁজ চালানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।