ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক ঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের তামিম সংক্রান্ত মামলায় ভিন্ন মত ২ বিচারপতির ফলে এবার মামলা যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। অভিযুক্ত নয়জনের জামিনের পক্ষে রায় বিচারপতি অরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু বিচারপতি অপূর্ব সিনহারায় শুধুমাত্র 4 এজেন্টকে জামিন মঞ্জুর করেছেন ফলে এবার মামলাটি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে তিনি এই মামলায় তৃতীয় কোন বিচারপতি নিয়োগ করবেন এবং সেখানেই এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দের জামিন সংক্রান্ত বিষয়টি এখনো ঝুলেই রইল।
২ বিচারপতির ভিন্ন মত। তাই শেষ পর্যন্ত ঝুলেই রইল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের জামিন সংক্রান্ত মামলা। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি চলার পর বুধবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহার রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করেছে। দেখা গিয়েছে মোট ন’জনের জামিন সংক্রান্ত মামলায় ভিন্নমত উঠে এসেছে দুই বিচারপতির। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তি প্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, কৌশিক ঘোষ ,আলী ইমাম, শাহীদ ইমাম, চন্দন মন্ডল, সুব্রত সামন্তর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তি প্রসাদ সিনহা, অশোক সাহার জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় ফলে এখন মামলাটি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনি কোন তৃতীয় বেঞ্চ নিযুক্ত করবেন এবং সেই বেঞ্চেই এই পাঁচজনের জামিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
এখন চার এজেন্ট কৌশিক ঘোষ ,আলী ইমাম, শাহীদ ইমাম, চন্দন মন্ডল, সুব্রত সামন্তর জামিনের আবেদন যেহেতু দুই বিচারপতি ই মঞ্জুর করেছেন সেক্ষেত্রে তাদের মুক্তি পেতে কোন সমস্যা রইলো না বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।
কিন্তু কোন প্রশ্নের ২ বিচারপতির মধ্যে দ্বিমত দেখা গিয়েছে তা রায়ের কপি আপলোড হলে স্পষ্ট হবে তবে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের তরফে অনুমতি না মেলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে শুনানি পর্বে একাধিক দ্বন্দ্ব উঠে এসেছিল। যেহেতু বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি তাই একজন অভিযুক্তকে কতদিন আটকে রাখা যায় এই প্রশ্নই হয়তো বিচারপতি অরজিত বন্দোপাধ্যায় ওই পাঁচ জনের জামিন মঞ্জুর করে থাকতে পারেন। অন্যদিকে বিচারপতি সিনহার রায় হয়তো মনে করেছেন যেহেতু এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই এবং তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন এবং এই পাঁচ অভিযুক্তই রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তা ব্যক্তি ছিলেন। তাই যেহেতু রাজ্য সরকারের তরফেই অনুমতি মেলেনি বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সে ক্ষেত্রে তাদের জামিন পাওয়ার কোন অধিকার নেই। এখন রায়ের কপি আপলোড হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও জানাচ্ছেন আইনজীবীরা।