নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: গবেষণার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নয়া পদক্ষেপ। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউজিসি জানিয়েছে,বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক গবেষণার জন্য তরুণ প্রজন্মের গবেষকদের পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কৃত করে তাদের সম্মান জানানো হবে। উল্লেখ্য,গত কয়েকবছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষক পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৭৭,৭৯৮। যা ২০১৭-১৮ তে বেড়ে হয়েছে ১,৬১, ৪১২। কিন্তু সেই অনুপাতে গবেষকদের সাম্মানিক বা ফেলোশিপের পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। উল্টে বন্ধ করা হয়েছে একাধিক গ্রান্ট বা ফেলোশিপ। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাই গবেষকদের উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ কমিশনের। এই নয়া উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিএইচডি এক্সেলেন্স সাইটেশন’। ২০২৫ থেকেই ‘পিএইচডি এক্সেলেন্স সাইটেশন’ নামক ইউজিসি-র এই নয়া উদ্যোগটি চালু হতে চলেছে। সেরা গবেষক বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কেই দিয়েছে কমিশন। এর জন্য বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস বা আঞ্চলিক ভাষা, সমাজবিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ‘থিসিস’ বা গবেষণা প্রবন্ধ খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য, কেন্দ্র, বেসরকারি এবং ‘ডিমড’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে গবেষকেরা তাঁদের ‘থিসিস’ জমা এবং ‘ডিফেন্ড’ করেছেন, শুধু মাত্র তাঁরাই এই পুরস্কারের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। ২০২৫ সালের ১জানুয়ারি থেকে এই আবেদন গ্রহণ করা শুরু হবে চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী,পুরস্কারের জন্য দুটি স্তরে বাছাই পর্ব চলবে। প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্ক্রিনিং কমিটি গঠন করে মোট পাঁচটি শাখার বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার জন্য গবেষকদের বাছাই করবে। সেক্ষেত্রে ইউজিসির বেধে দেওয়া নিয়মের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজের পছন্দকে আমল দিতে পারে। তবে পরবর্তী ধাপে ইউজিসি পাঁচটি শাখার জন্য পাঁচটি আলাদা সিলেকশন কমিটি গঠন করবে। এর পর প্রতিটি শাখার দু’জন গবেষককে উৎকর্ষতার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের তরফে বাছাই করা গবেষকদের সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে ১ অগস্টের মধ্যে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর গবেষকদের পুরস্কৃত করা হবে। ইউজিসির এই উদ্যোগের গবেষকেরা।