ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের অন্য থানারগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
ঘটনা হল, দুই ভাইয়ের ব্যবসায়ীক বিবাদকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে একাধিক মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। নিউমার্কেট থানা ও বউবাজার তানায় একাধিক মামলা পাল্টা মামাল হয়েছে। ব্যবসার কপি রাইটকে কেন্দ্র করে বিবাদ এর আগে হাইকোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পৃথক একটি মামলা এখনও বিচার বাকি। এর মধ্যেই মহম্মদ বারিকের অভিযোগ, শত্রুতার জেরে তাঁর পোশাকের দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ভাই মহম্মদ আরিফ। যার জেরে মহম্মদ বারিকের মোট আট লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, হাওড়ার ১৯ নম্বর নিত্যধন মুখার্জি রোজে অবস্থিত দোকানে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরই হাওড়া থানার অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। কোনওরকম তদন্তই হয়নি।
বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্ক ঘোষের এজলাসে যাবতীয় অভিযোগ তুলে ধরেন মামলাকারীর আইনজীবী। এরপরই সরকারি আইনজীবীর কাছ থেকে তদন্তের গতি প্রকৃতি জানতে চান বিচারপতি ঘোষ। তিনি প্রশ্ন করেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে কী কোনও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। উত্তরে সরকারি আইনজীবী জানান, সেই কাজ এখনও বাকি আছে। এরপরই হাওড়া থানার ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করে সরাসরি হাওড়া থানার আইসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁকে এজলাসে হাজির থাকতে হবে। হাওড়া থানা ছাড়াও এই কমিশনারেটের অন্য থানাগুলির ভূমিকাতেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি ঘোষ।