শিক্ষার্থীদের অঙ্ক নিয়ে ভয় কাটাতে নয়া উদ্যোগ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।এতদিন বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য অঙ্কের সিলেবাস একই ছিল। এবার ভাগ হয়ে যাচ্ছে সেই সিলেবাস।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: উচ্চমাধ্যমিকে এবার বিভাগ ভিত্তিক অঙ্ক। শিক্ষার্থীদের অঙ্ক নিয়ে ভয় কাটাতে নয়া উদ্যোগ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রয়োজন হয় অঙ্কের। এতদিন বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য অঙ্কের সিলেবাস একই ছিল। বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়ছেন যে পড়ুয়া, তিনি যে মানের অঙ্কের পাঠ্যক্রম পড়ছেন, একজন কলা বা বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীকেও একই সিলেবাস পড়তে হচ্ছে। তবে এবার তার বদল ঘটছে। শিক্ষার্থীদের অসুবিধা দূর করার জন্য অঙ্ক বইকে তিন ভাগে ভাগ করে দিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিভাগ অনুযায়ী ভাগ করা হচ্ছে অঙ্কের সিলেবাস। ‘বেসিক, কর্মাশিয়াল ও পিওয় ম্যাথমেটিক্স। এই তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের অঙ্কের সিলেবাস। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক জানিয়েছেন, “যাঁরা কলা বা বাণিজ্য শাখায় পড়ছেন, অথচ অঙ্ক নিয়েছেন, তাঁদের বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের মতো বিস্তারিত অঙ্ক না করলেও চলে। অথচ এত দিন তাঁদের সেই বিস্তারিত পাঠ্যক্রম পড়তে হচ্ছিল। ফলে অঙ্কের প্রতি ভীতি যেমন থেকে যাচ্ছিল, সেরকমই অঙ্কের নম্বরও কম উঠত। এই অসুবিধা দূর করার জন্যই তিন ধরনের অঙ্ক পাঠ্যক্রম চালু করা হচ্ছে।” উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, উচ্চমাধ্যমিকে তিন ধরনের অঙ্ক চালু হলে উপকৃত হবেন পড়ুয়ারা। প্রঙ্গত,ইতিমধ্যে সিবিএসই বোর্ডে নবম- দশম স্তরে দুই ধরনের অঙ্ক পাঠ্যক্রম রয়েছে। যাঁরা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়বেন, তাঁদের অঙ্ক যতটা বিস্তারিত করতে হয়, যারা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক নন, তাঁদের বিস্তারিত অঙ্ক না করলেও চলে। এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তে গণিত নিয়ে অযথা চাপ কমবে শিক্ষার্থীদের বলেও মত তাঁদের। এতে অঙ্ক নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভীতিও অনেকটা কমবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। সংসদ সূত্রে খবর, সিলেবাস কমিটির বিশেষজ্ঞেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। ২০২৫ সাল থেকেই এই পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানা গেছে।