সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বাড়ছে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। আর সেই জন্যই কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে অসম প্রশাসন। আধার কার্ডের সঙ্গে এনআরসি সংযুক্ত করার নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার। আধার কার্ডের আবেদনের সঙ্গে এনআরসির আবেদন না করলে আধার কার্ডের আবেদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে অসম, ত্রিপুরা পুলিশসহ বিএসএফও। এমতাবস্থায় রাজ্যের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে আঁটোসাটো করতেই আধার কার্ডের প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর হয়েছে অসম প্রশাসন বলে মত সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার। এবার থেকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে আধার কার্ডের আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করবে। নথি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তারাই খতিয়ে দেখবে। আবেদন কতটা প্রাসঙ্গিক তা যাচাই করবে প্রতি জেলার একজন করে অতিরিক্ত জেলা কমিশনার। তাঁদেরকেই এই কাজে নিযুক্ত করা হবে।
প্রাথমিক তথ্য যাচাইয়ের পর ইউআইডিএআই (UIDAI) বা আধার নিয়ামক সংস্থা শসেই আবেদনগুলি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাবে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য। স্থানীয় সার্কেল অফিসার খতিয়ে দেখবেন যিনি আধার কার্ডের আবেদন করেছেন তাঁর মা-বাবা এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কি না। যদি না করে থাকেন তবে সংস্লিষ্ট ব্যক্তির আধার আবেদন খারিজ করা হবে। এমনকী সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয় বার আর আধারের আবেদন করতে পারবেন না। আগে থেকে এনআরসিতে আবেদন করা থাকলে, তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাড়ি গিয়ে দেখা হবে। এরপর সমস্ত তথ্য সঠিক থাকলে আধার কার্ড হাতে পাওয়া যাবে। এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাঁরা বদলির চাকরি করেন। তাঁদের এনআরসিতে আবেদনের দরকার নেই বলেও জানাচ্ছে অসম প্রশাসন। ২০১৯ সালের ৩১শে অগস্ট অসমে প্রকাশিত এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন আবেদনকারীর নাম। যা নিয়ে সেই সময় বিতর্কের সৃষ্টি হয়।