সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ১৯৮৪ সাল থেকে কলকাতা ও শহরতলীর মানুষকে কম সময় কম টাকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌছে দেওয়ার জন্য মেট্রো রেলের বিকল্প নেই। বিশেষ করে নিত্যযাত্রী যারা তাদের কাছে মেট্রোর কোন বিকল্প হতেই পারে না। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কলকাতায় গণপরিবহনের শীর্ষে রয়েছে মেট্রোরেল। পরিবহন মাধ্যম হিসাবে মেট্রো রেলের প্রসার আরও সুমসৃণ করেছে পরিবহন পরিষেবাকে। শুধুমাত্র কম সময় নয় কম টাকায় এলাকা থেকে অন্য এলাকায় সহজেই যেতে পারেন মধ্যবিত্তরা। তবে এবার বাড়ছে ভাড়া। আগামী ১০ তারিখ থেকে নতুন ভাড়া লাগু হতে চলেছে। যদিও এই ভাড়া শুধুমাত্র রাতের শেষ মেট্রো জন্য লাগু করা হয়েছে। কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত্রি দশটা চল্লিশ মিনিটে। রাতের যাত্রীদের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বিশেষ এই মেট্রো পরিষেবা চালু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় ধরে এই মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হলেও তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম তা দেখা গিয়েছে। ফলে বিশেষ এই মেট্রো চালানোর জন্য অনেকটাই লোকসান হচ্ছে মেট্রো রেলের। তাই শুধুমাত্র, দশটা চল্লিশের শেষ মেট্রোর জন্যই বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। সর্বনিম্ন ৫ টাকা হোক বা সর্বাধিক ৩০ টাকা, প্রতি ভাড়ার জন্যই দশ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে অর্থাৎ পাঁচ টাকার ভাড়া হয়ে যাবে ১৫ টাকা এবং ৩০ টাকার ভাড়া হয়ে যাবে ৪০ টাকা। তবে এটা শুধুমাত্র কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী বা দমদম থেকে কবি সুভাষগামী শেষ মেট্রোর জন্যই প্রযোজ্য। এই রুটে অন্যান্য সময়ের মেট্রোর ভাড়া একই থাকবে। পাশাপাশি অন্যান্য রুটের মেট্রো ভাড়াও একই থাকছে। শেষ মেট্রোর পরিষেবার সময় মেট্রো স্টেশন গুলির কোনটাতেই টিকিট কাউন্টার খোলা থাকে না। স্টেশনে বসানো এএসসিআরএম মেশিন থেকে টোকেন নিতে হয় বা স্মার্ট কার্ডের সাহায্যে মেট্রো পরিষেবা নিতে পারে যাত্রীরা।