ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: শুধু তাইই নয়, হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্টও। এমনই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরের কল্যানগড়ের বাসিন্দা রাজা ভট্টাচার্য।
মামলাকারীর অভিযোগ, গত বছরের শুরুর দিকে বাগদার বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস ও তাঁর ভাই সুমন বিশ্বাস নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সুদীপ জাপানের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই জাপানের দূতাবাসে তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে সেদেশের ভিসা ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। সেই মত গত বছরের জুন মাসে সুদীপের ভাই সুমনকে মামলাকারী তাঁর পাসপোর্ট এবং অগ্রিম বাবদ ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা দেন। অগ্রিম দেওয়ার পর সুদীপ রাজাকে জাপানের একটি ভিসার ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে বলে অভিযোগ।
মামলাকারীর আরও দাবি, ওই ভিসার ছবি দেখে আশ্বস্ত হয়ে সুদীপের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে তিনি মোট ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা জমা করেন। এর কিছু দিন পর থেকে সুদীপ ও তাঁর ভাই মামলাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত মামলাকারী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর টাকা ও পার্সপোর্ট ফেরত পেতে বাগদা থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবক। কিন্তু পুলিসকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট(যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয়েছিল) ফ্রিজ করতে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিস।
সম্প্রতি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রাজ্যের তরফে পদক্ষেপের কথা জানানো হলেও তদন্ত প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। নির্দেশে বিচারপতি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে তদন্ত করতে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।