সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- কয়েক মাস আগেই ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বদলে হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এবার ৯০ বছর পর হল এয়ারক্রাফ্ট সংক্রান্ত আইনে বদল। ১৯৩৪ সালে তৈরি হয়েছিল এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্ট। সেই অ্যাক্টকে বদলে ফেলা হল খানিকটা। নতুন নামকরণ করা হল “ভারতীয় বায়ুহান বিধেয়ক”। পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইনের বদলকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের বিমান পরিষেবাকে আরও বেশি আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে আইনে বদল বলেই মতামত বিশেষজ্ঞদের।
সমগ্র বিশ্বের বিমান পরিষেবার সঙ্গে এদেশের বিমান পরিষেবাকে সামঞ্জস্যময় করতে বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিমান পরিষেবায় যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
১)নতুন বিলের প্রথমেই রয়েছে, ২১ বার সংশোধন করা এয়ারক্রাফ্ট আইন ১৯৩৪ বদলে ফেলতে হবে। ২)এয়ারক্রাফ্ট তৈরির ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর হতে হবে।
৩)যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।
৪)যাত্রীদের অত্যাধিক ভাড়া যাতে দিতে না হয় সেদিকেও নজরে রাখা হয়েছে।
হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০২৩ সালের দীপাবলির তুলনায় এই বছরে বিমানের টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধির হার অনেকটাই কম। কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকির খবর পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্টই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু। বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকেও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। “৯০ বছর আগের বিলে আইনের শিরোনাম ইংরেজিতে ছিল। সেটিকে বদলে হিন্দি করা হয়েছে। ভাষা বদলের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে বলে মত অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডুর। পাশাপাশি তিনি বিমান পরিষেবায় উন্নয়নের কথাও বলেন। কীভাবে উড়ান স্কিমের অন্তর্ভূক্ত, সারা দেশে ৮৬টি আঞ্চলিক এয়ারপোর্ট চালু করা হয়েছে এবং গত ৮ বছরে ৬০৯ টি রোড খুলে দেওয়া হয়েছে তাও তুলে ধরা হয়।