ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: একটি ফ্যাক্টরি মালিককে জমি থেকে বেদখল করার অভিযোগ খোদ কান্সিলরের বিরুদ্ধে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়েছে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ফ্যাক্টরিতে ঢুকতে পারছেন না মালিক। কাউন্সিলর ও তাঁর সহযোগীরাই বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পুলিসে লিখিত অভিযোগ জানানোর পর প্রায় দু’বছর কাটতে চললেও কোনও সুরাহা হননি। বাধ্য হয়ে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জমি মালিক। যাবতীয় বৃতান্ত শোনার পর আপাতত বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিস কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
মামলাকারী কিরনময় পুরকায়স্থর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ নম্বর কবি মুকুন্দ দাস রোডে তাঁর একটি রবার ফ্যাক্টরি রয়েছে। ওই ফ্যাক্টরি সংলগ্ন কিছুটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীরআর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁর ফ্যাক্টরিতে দু’জনেক নিয়ে চড়াও হয় স্থানীয় কাউন্সিলর বিউটি হালদারের স্বামী বিপ্লব হালদার। এবং তাঁরা ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ওই জমিটি দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে রাজি না হওয়ায় মামলাকারীকে অনবরত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি মামলাকারীর। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
শুক্রবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তিনি ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। যাবতীয় বৃতান্ত শোনার পর বিচারপতি জানিয়ে দেন, ঘটনার তদন্ত করেবন দমদম থানা এলাকার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার। কোনও রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ওই ফ্যাক্টরি মালিক যাতে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করতে পারে তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে।