ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: ঝুলে রইলো,সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আগাম জামিনের মামলা।মামলার পরের শুনানি,আগামী সোমবার। নিম্ন আদালতে, হাইকোর্টে শুনানির কথা জানাতে হবে।নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের।সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আগাম জামিনের দাবী ওড়ালো সিবিআই। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ইতিমধ্যেই গ্রেফতার দাবী সিবিআই আইনজীবীর।
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিম্ন আদালতে প্রোডাকশন এর বিষয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিলো না হাইকোর্ট।মিলন মুখার্জি কাকুর আইনজীবী জানায় ৯ জুন ২০২২ সিবিআই কেস রেজিস্টার্ড হয়। ২৪ জুন ইসিআইয়ার দায়ের হয়। ৪ মে ২০২৩ আমার বাড়িতে রেইড হয়। ৩০ মে ২০২৩ ইসিআইআর কেসে আমায় গ্রেফতার করা হয়।তারপর এতো দিনে,এক দিন সিবিআই জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ইতিমধ্যেই ইডি কেসে হাইকোর্ট আমায় বেইল দিয়েছে।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পর্যবেক্ষণ বেল বন্ড দিতে পারেননি বলে, আপনি তো এখন কাস্টডি তেই আছেন।সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর আইনজীবী মিলন মুখার্জি – না,নতুন কোডে কাস্টডিতে নেই। এখনো কোন প্রসিডিংস সিবিআই কোর্টে শুরু হয়নি। প্রডাকশন এর পরেই প্রসিডিংস শুরু হবে।
বিচারপতি – শুনানি অন্য দিন করা সম্ভব??
আইনজীবী মিলন মুখার্জি – একটাই অনুরোধ, দুদিনের একটা অন্তর্বতীকালিন স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। রোজ একটা করে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু হচ্ছে।
বিচারপতি – এখানে স্থগিতাদেশ দেওয়ার মতো কিছু নেই।
বিচারপতি সিবিআইকে – উনি জেলে থাকলেন এতো দিন,আপনারা একদিন গিয়ে যেরা করলেন। উনি ইডি কেসে জামিন পাওয়ার পরেই আপনারা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এর আবেদন জানালেন?? হঠাৎ কি এমন প্রয়োজন হয়ে গেলো এখনি গ্রেফতার করার??
সিবিআই আইনজীবী – সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অলরেডি অ্যারেস্টড। ওনাকে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অনুমতির দরকার নেই। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে যা তথ্য আমাদের হাতে আছে,তাতে কোন মতেই হঠাত তার বিরুদ্ধে তদন্ত আমরা করছি না।