বাংলাদেশ নিয়ে এর আগে দু’বার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কেন্দ্রিয় সরকারের নীরবতাকেই আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- দুই সপ্তাহে তিন বার। প্রথম বার গত সপ্তাহের সোমবার বিধানসভায় নিজের ভাষণে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তারপর দুই দিন আগে ফের একবার বিধানসভাতেই বাংলাদেশ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছিলেন, আপনারা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা দখল করতে আসলে আমরা কি বসে বসে ললিপপ খাবো? মুখ্যমন্ত্রীর এই দুই বক্তব্যেই ছিলো নিজের ও দলের অবস্থান স্পষ্ট করার বার্তা। আর বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর এর দীঘায় দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরি আক্রমণ করলেন কেন্দ্রিয় সরকারের দিকে। তাঁর কথায়, “গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া মাস্ট অ্যাক্ট। অ্যাক্ট মানে চুপ করে বসে থাকা নয়, অ্যাক্ট মানে মানুষকে নিরাপত্তা দিক।”
ভারতের বিদেশ সচিব এর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। এটা তো ভারত সরকারের দেখার কথা, আমাদের নয়। আমি তো শুনেছি ভিসা আরো বাড়ানো হয়েছে যাতে ওখান থেকে বেশি লোক এখানে আসতে পারে।” এই সময়েই তিনি বলেন যারা ওদের থেকে আমাদের দেশে চলে আসতে চায় তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক ভারত সরকার। বাংলাদেশ ে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে ফের একবার তার নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে আমরা তার নিন্দা করি আমরা তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি। ভারত সরকারের এখন কাজ করে দেখানোর কথা কাজ মানে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যারা ফিরে আসতে চায়, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা।” তিনি যোগ করেন, “বর্ডার থেকে তো অনেকে চলে আসছে শুনতে পাচ্ছি। বিএসএফ কোথাও আটকাচ্ছে, কোথাও আটকাচ্ছে না। উড়ান পরিষেবাও চালু রয়েছে। ইন্ডিয়া বা বাংলাদেশে কোথাও তো একটাও বর্ডার বন্ধ হয়নি। আমরা শুধু চাই আমাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক।” যেভাবে ওপার বাংলার কেউ কেউ (বিএনপি-র যুব দল) মার্চ করে ভারত সীমান্তে (ত্রিপুরার আখাউড়া বর্ডার) আসছে, তেমনি এপার বাংলাতেও বিজেপি পেট্রাপোল সীমান্ত বা ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, “যাদের বিরোধীতা করার কথা, বিরোধী দল, বিরোধীতা করতে পারতাম আমরা। এখানে বিরোধী দল দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছে আর কেন্দ্রের শাসক দল কি নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে ?”