ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ তৃতীয় বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ,সুবিরেস ভট্টাচার্য,শান্তি প্রসাদ সিনহা ,অশোক সাহা,কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এর সিবিআই জামিনের মামলা য় নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতির তদন্ত চলছে ।কিন্তু এই পাঁচ জনের জন্য তদন্ত শেষ জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। শুনানি শেষ করলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী রায় দান স্থগিত।
কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ তৃতীয় বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ,সুবিরেস ভট্টাচার্য,শান্তি প্রসাদ সিনহা ,অশোক সাহা,কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এর জামিনের মামলা ।কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এর দুই বিচারপতির মধ্যে মত বিরোধ তৈরি হওয়ায় মামলা আসে তৃতীয় বেঞ্চের কাছে ।বিচারপতি তোপোব্রত চক্রবর্তী র বেঞ্চে হয় মামলার শুনানি।
সিবিআই আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী:–এরা প্রত্যেকেই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ।নিজেদের ক্ষমতায় দুর্নীতি করেছে ।এদের জামিন দিলে প্রমাণ লোপাট করতে পারে ।সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারে ।তদন্ত করা তখন মুস্কিল হবে ।শান্তি প্রসাদ এবং অশোক সাহা কোন কোন স্কুল এ এই ক্যান্ডিডেট র চাকরি করবে সেটা নির্বাচন করত । তালিকা তৈরি করে।
বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয় ।এবং ওই তালিকায় যারা টাকা দিয়েছে তারাই নিয়োগ পেয়েছে । ও এ মার সিট টেম্পার করে ওই লিস্ট তৈরি হয়ছে । প্রথম নিয়োগ প্রক্রিয়া অপরাধ করা হয় ও এ মার সিট টেম্পার করে ও নথি নষ্ট করে দেয়ার মাধ্যমে ।
দ্বিতীয় অপরাধ করা হয় যখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধা তালিকায় সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পর নিয়োগ করে ।এই তালিকা টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় ।তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।এটা গভীর ষড়যন্ত্র ।এই ষড়যন্ত্র শিক্ষক সংগঠনের নিয়োগ হয়ছে ।এই শিক্ষকরা সমাজের মেরুদন্ড তৈরি করে ।
বিচারপতি সিবিআইকে :–আদালত কে জানাও কেনো এই আবেদনকারীদের এখনো জেলে রাখা প্রয়োজন ? প্রায় দু বছর হলো।অপূর্ব সিনহা রায় যে কারণে মনে করছেন এদের জামিন পাওয়া ঠিক হবে না সেটা তোমার তদন্তে কিসের প্রয়োজন আদালত কে জানাও ।প্রভাবশালীর অভিযোগ এখন গুরুত্বপূর্ণ নয় ।
সিবিআই আইনজীবী :–সামাজিক এবং আর্থিক অপরাধের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার প্রাধান্য পায় না এখানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়ছে সেটা সামাজিক অপরাধ ।সব সময় অপরাধ কে প্রমাণ করার জন্য নথির প্রয়োজন হয় না ।কখনও কখনও সাক্ষীদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। অবৈধ নিয়োগপত্র যাচাইযের জন্য বিভাগীয় কর্মচারীদের সাক্ষ্য অনেক গুরু্বপূর্ন।সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে সুবিধা নিচ্ছে অভিযুক্তরা। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন বাইরে থাকলে সাক্ষীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
বিচারপতি:–সিবিআই কেনো ভাবছে জামিন পেলে এর বিচারপ্রক্রিয়ার হস্তক্ষে করবে?
সিবিআই আইনজীবী:–এদের যা প্রভাব আছে তাতে প্রভাব খাটাতেই পারে।তদন্ত এখনো চলছে । সিবিআই স্পেশাল আদালতে সব তথ্য প্রমাণ তুলে দেয়া হচ্ছে ।এদের জামিন দিলে পুরো তদন্তের ক্ষতি হবে ।আর্ আমাদের দেশের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে । সরা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ।
ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলায় সরকারি কর্মচারীদের সরকারি অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি ।কেনো অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না যার জন্য বিচারপ্রক্রিয়া থমকে আছে ।মুখী সচিব কেনো সময় নিচ্ছেন অনুমোদনের জন্য?
পার্থ চটটোপাধ্যায় আইনজীবী মিলন মুখার্জি:–এটা আমার জানা নেই কারণ অভিযুক্তরা এতে সাফার করছে ।২০১৯ নলিনী চিদাম্বরম এর মামলা এখনো পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি ।তারা এখনো বলছে তদন্ত চলছে ।সুতরাং সিবিআই এর তদন্ত নিয়ে সকলের প্রশ্ন রয়ছে ।
আইনজীবী শেখর বসু:–বিষয়টি সরকার ও সিবিআই এর মধ্যে ব্যাপার ।এবিষয়ে আমরা আলোকপাত করতে পারি না তবে তদন্ত এখনো চলছে কি না সেটা আমার জানা নেই ।
বিচারপতি :–আপনার কি মত তদন্ত চলছে কি না ??
শেখর বসু (অশোক সাহা আইনজীবী ):– সিবিআই বলছে তদন্ত এখনো চলছে ।কিন্তু তদন্ত চলছে এমন কোনো নথি আমার জানা নেই ।সেই কারণে আবেদনকারীকে আটকে রেখে কি লাভ ? জামিন দেয়া হোক ।
সন্দীপন গাঙ্গুলি, এসপি সিনার আইনজীবী :– আবেদনকারীরা প্রত্যেকে ৭০ বছরের বেশি বয়স ।একমাত্র সুবিরেশ ভট্টাচার্য বয়স ৬৭ ।সুতরাং এর জামিন পেলে পুনরায় সরকারি কোনো পদে আসীন হবে এবং সেই ক্ষমতা থেকে নথি নষ্ট করবে এমন সম্ভাবনা আর নেই ।একই ভাবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেয়েছে এই শর্তে যে সে কোনো সরকারি পদে আসিন হতে পারবে না ।