ন্যায় বিচারের দাবিতে নতুন করে শিক্ষক আন্দোলনে তপ্ত রাজপথ। ২০১৬ সালে এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকুরিজীবী শিক্ষক- শিক্ষিকা এঁরা। চাকুরি বাঁচাতে তাঁদের এই আন্দোলন।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: নতুন করে শিক্ষক আন্দোলনে তপ্ত রাজপথ। এবার চাকুরিপ্রার্থীরা নয় এবার আন্দোলনে সামিল চাকুরিজীবী শিক্ষকেরা। যাঁদের চাকরি এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০১৬ সালে এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকুরিজীবী শিক্ষক- শিক্ষিকা এঁরা। ২০১৬সালের এই প্যানেল নিয়ে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। অভিযোগ, এই প্যানেলে নাকি যোগ্যদের পাশাপাশি চাকরি পেয়েছে একাধিক অযোগ্যরা। যা নিয়ে চলছে আইনি লড়াই। হাইকোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের এই প্যানেল বাতিল হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালে ৭ জানুয়ারি ফের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি আছে, ততদিন পর্যন্ত পথেই অবস্থানে থাকতেছেন চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের অযোগ্যদের মতোই শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা ন্যায্য ভাবে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। তাই তাঁদের দাবি, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তাঁদের যেন শাস্তি দেওয়া না হয়। যোগ্য ও অযোগ্যদের যেন সঠিক ভাবে বিচার করা হয়। যেন সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল না করা হয়। আর এই দাবিকে কেন্দ্র করে বর্ষশেষে শিক্ষকদের আন্দোলনে মুখরিত ধর্মতলা। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন তাদের যোগ্য অধিকার আদায়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে দিন ও রাত কাটাচ্ছেন। প্রবল শীত ও বর্ষশেষের আনন্দকে উপেক্ষা করে চলছে শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। তাঁদের আরও দাবি, শীর্ষ আদালতে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত তথ্য প্রদান ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। ৭জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। নতুন বছর তাঁদের জীবন আনন্দময় করে তুলবে না ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারময় হবে সেটা অবশ্যই সময় বলবে। তবে ন্যায় না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই তাঁদের চলবে এমনই অঙ্গিকার ২০১৬ সালের এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকুরিরত হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের।