ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে অবিলম্বে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থর ডিভিশন বেঞ্চের।
২০১৩ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা হয়। ২০১২ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সফলতা অর্জন করে ৪১ জন পরীক্ষার্থী। যেহেতু এঁদের বিএড এবং ডিএলএড দুটি ডিগ্রিই ছিল তাই তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্ষদের দাবি যেহেতু তাঁদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে তাই ডিএলএড ডিগ্রিটি প্রাধান্য পাবেনা। ওই ৪১ জন অসফল চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে একক বেঞ্চ ওই পরীক্ষার্থীদের ডিএলএড ডিগ্রিকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগের নির্দেশ জারি করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। সেখানেও একক বেঞ্চের রায় বহাল থাকে। এরপর পর্ষদ কর্তৃপক্ষ অন্য একটি আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। অপরদিকে ৪১ জন পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় পর্ষদ সভাপতিকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দেন মান্থর ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন পর্ষদ সভাপতি আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি মামলায় মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে। ফলে এই ৪১ জনের তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ করা হলে সেক্ষেত্রে সংশয় দেখা দিতে পারে।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে সেই মেধাতালিকায় ৪১ জন পরীক্ষার্থীর ডিএলএড ডিগ্রিকে প্রাধান্য দিয়ে তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।