সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- ডিসেম্বর পড়তেই বেড়াতে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। তাই ডিসেম্বর পড়তেই সুখবর ভ্রমণ পিপাসুদের। ১লা ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে গেল উত্তর সিকিমের পথ। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে যে উত্তর সিকিমের রাস্তা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য তা আগেই শোনা গেছিল। তবে সেই জল্পনায় সিলমোহর দিল সিকিম প্রশাসন। উত্তর সিকিমে যেতে আর কোন বাধা থাকল না পর্যটকদের। ২০২৩ সালের পর থেকে ধস-বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে উত্তর সিকিম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতির স্বাভাবিক না থাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ হতে থাকে। এর ফলে প্রভাব পড়ে মঙ্গন জেলায়। ভারতের ভূখণ্ডের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর সিকিমের এলাকা। লোনার্ক হ্রদে বিপর্যয়ের ফলে উত্তর সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্ত রকম বিপর্যয় অতিক্রম করে রবিবার থেকে খুলে গেল টুং নাগা রুট। উল্লেখ্য, এই রাস্তা ধরেই উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচেন, লাচুংয়ের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকাগুলি যেতে হয়। রাস্তা খুলে দিলেও একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে, সকাল ১০টার মধ্যে সমস্ত গাড়িকে মঙ্গন বাজার এলাকা অতিক্রম করতে হবে। রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারের কাজে কোনওরকম বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সিকিম প্রশাসনের তরফ থেকে। বর্তমানে মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় শুধুমাত্র গাড়ি চলাচল করতে পারবে। যানযট এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাস্তা খুললেও পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক নির্দেশিকা। উত্তর সিকিমের কোন পর্যটনক্ষেত্রে বেড়াতে গেলে একদিন আগে বা বেড়াতে যাওয়ার দিনের সকালে সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে। শুধুমাত্র এসইউভি বা বড় গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে পর্যটকরা। কোনও রকম ছোট গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। মঙ্গনের রাস্তা মেরামতির কাজ অনেকটাই শেষ হয়েছে। মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় এতদিন যান চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা অবশেষে উঠল। সুতরাং ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে উত্তর সিকিমে প্রবেশে আর কোন বাধা থাকল না।