রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হল শান্তনু সেন এবং সুদীপ্ত রায়কে। নি:সন্দেহে বড় পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে পাবলিক রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নাম ঘোষণা করা হলো। এসএসকেএম হাসপাতালে অরূপ বিশ্বাস, এনআরএস হাসপাতালে সুপ্তি পান্ডে, আরজিকর হাসপাতালে অতীন ঘোষ, কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে শশী পাঁজা, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে জাভেদ খান প্রমূখ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই রোগী কল্যান সমিতির মাথায় আর কোনও জনপ্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। তার জায়গায় প্রত্যেক কলেজের অধ্যক্ষকেই রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় রাখা হয় চেয়ারম্যন করে। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে রোগী কল্যান সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন বা আদৌ কেউ থাকবেন কি না। এবার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে কোন মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যান সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন। সেই জায়গায় উল্লেখ্য বিষয় হলো এতদিন যারা রোগী কল্যান সমিতির মাথায় ছিলেন তাদেরকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিনিধি হিসেবে বাছা হয়েছে। শুধু সুদীপ্ত রায় ও শান্তুনু সেনের ক্ষেত্রে বদল হতে দেখা গেল। তাদেরকে আর কোনও ভাবেই কোনও রোগী কল্যান সমিতির সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়নি।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন শ্রীরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। তাকে বদল করে আরজিকর মেডিকেল কলেজের সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে আনা হয়েছে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অতীন ঘোষকে এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে রোগী কল্যাণ সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হলো জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শশী পাঁজাকে। নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তনু সেন। তাকে বদল করে তার জায়গায় সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হলো মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুপ্তি পান্ডেকে।এর থেকে একটি বিষয়ে স্পষ্ট পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে সুদীপ্ত রায় এবং শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তাদেরকে আর কোনভাবে কোন হাসপাতালে সরকারি পদে রাখা হলো না।