বাংলা ভাষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। কেএমসি-র তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করতেই পুরসভার এই উদ্যোগ বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: বাংলা ভাষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। কেএমসি-র তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে উল্লেখ করা আছে,দোকান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (কোম্পানী),বিপণন কেন্দ্র (শপিং মল),অফিস, রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট),হোটেল,হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) এ বার থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বাংলায় লিখতে হবে। এটার মূল লক্ষ্য হল,বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করা বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। সম্প্রতি বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। যা বাংলার মানুষের কাছে খুবই গর্বের বিষয়।তাই সমস্ত নামফলক ও সাইনবোর্ডে বাংলাভাষার উপস্থিতি থাকা আবশ্যক বলে মত পুরকর্তাদের।
এই প্রক্রিয়াটির জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর একটি অস্থায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত ২০০৭ সালে কেএমসি দ্বারা এই একই পদক্ষেপ তৎকালীন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দোকান মালিকদের সাইনবোর্ডগুলিতে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার জন্য নোটিস জারি করেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৪ সালে সেই একই সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এর আগে বলেছিলেন যে তিনি বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং দোকানগুলিকে তাদের সাইনবোর্ডে ব্যানার, ফেস্টুনে ইংরেজি বা হিন্দি ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করবেন। এরপর বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা।কলকাতায় দোকান, রেস্তরাঁ, রাস্তার নামফলক থেকে শুরু করে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের সাইনবোর্ড— অন্য ভাষায় লেখা থাকলেও তার পাশাপাশি এ বার থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বাংলায় লিখতে হবে। পুরসভার এই বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেই মত তাদের। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে খুশি শহরবাসীও।