ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সৈয়দ ইজাজ উল হক প্রকাশ্যে এই শব্দকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিহারি’ শব্দটি শুধু তাঁকে নয়, গোটা সম্প্রদায়কেই অপমান করছে। সৈয়দ ইজাজের বক্তব্যের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
দেশভাগের সময় বহু বিহারি এবং উত্তর প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী পাকিস্তানে চলে আসে। কিন্তু পাকিস্তানে আসার পর থেকেই তাঁদের ‘মাইগ্রেন্ট’ বা ‘মুহাজির’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে তাঁদের পরিচয়ের সংকট তৈরি হয়। এই সংকট আজও তাঁদের উত্তরসূরিদের মধ্যে রয়ে গেছে, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের পাঠান (খান) সম্প্রদায়ের মধ্যে।
সৈয়দ ইজাজ উল হক বলেন দেশভাগের পর যারা ভারত থেকে পাকিস্তানে এসেছিলেন, তাঁদের ‘বিহারি’ বা ‘মুহাজির’ বলা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ‘বিহারি’ শব্দটি নেতিবাচক তাৎপর্য পেতে শুরু করে। হক জানান, বিহারি সম্প্রদায়কে নিয়ে বিদ্রূপ করা তাঁদের পাকিস্তান সৃষ্টির অবদানের প্রতি একটি বড় ধরনের অসম্মান। ”বিহারিরা সেই মানুষ, যাঁরা পাকিস্তান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা স্লোগান তুলেছিলেন- ‘হিন্দুস্তান ভাগ হবে, পাকিস্তান তৈরি হবে’। পাকিস্তানের অস্তিত্ব আজ তাঁদের কারণেই।” তিঁনি বলেন ”বিহারিদের অবদানকে সম্মান জানানোর বদলে তাঁদের নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে। এটি তাঁদের আত্মত্যাগকে অপমান করার সমান।”