সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: ভারতীয় বায়ু সেনায় এবার নতুন বিভাগ। বায়ুসেনায় যোগ দেওয়া নতুন ব্যাচের এক দল অফিসার যোগ দিচ্ছেন বায়ু সেনায় তৈরি হওয়া নতুন বিভাগে, যার নাম “ওয়েপন সিস্টেম ব্রাঞ্চ”।
হায়দ্রাবাদের দুন্দিগালে এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমি থেকে সদ্য পাশ করা অফিসাররা যোগ দিতে চলেছে এই বিভাগে। মোট ২০৪ জন ক্যাডেট যোগ দেবেন “ওয়েপন সিস্টেম ব্রাঞ্চ”-এ। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিংয়ের উপস্থিতিতে তাঁদের কম্বাইন্ড প্যারেড সম্পন্ন হয়। ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর হিসাবে কাজ করার জন্য ক্যাডেটদের দুটি ধাপে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ট্রেনিং হয়েছে এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে। দ্বিতীয় ধাপের ট্রেনিং হয়েছে হায়দ্রাবাদের বেগুমপেটে ওয়েপন সিস্টেম স্কুলে।
২০২২ সালে চণ্ডীগড়ে এয়ার ফোর্স ডে অনুষ্ঠান উদযাপনের সময় নতুন এই শাখা তৈরির কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিবেক রাম চৌধুরী। স্বাধীনতার পর প্রথম কোনও অপারেশনাল ব্রাঞ্চ তৈরি হল। ৪টি পৃথক ক্ষেত্রকে একত্রে করার জন্যই বিশেষ এই শাখা তৈরি হয়েছে।
১) সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল- অপারেটররা স্থলের লক্ষ্যমাত্রাকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরিচালন করবে।
২) সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল- বায়বীয় হুমকিকে আটকানোর জন্য ডিজাইন করা এটি।
৩) রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট (ইউএভি) – এই সাব-স্ট্রিমটি নজরদারি এবং লজিস্টিক সহ বিভিন্ন মিশনের জন্য ড্রোনের দ্বারা জড়িত অপারেশনগুলিতে ফোকাস করে।
৪) টুইন/ মাল্টি- ক্রু এয়ারক্রাফ্ট অপারেশন- অফিসাররা মাল্টি- ক্রু বিমান পরিবেশে অস্ত্র সিস্টেম পরিচালনা করবে।
নতুন শাখা তৈরির ফলে প্রায় ৩৪০০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে বায়ুসেনা বাহিনীর বলে মনে করা হচ্ছে। সুখোই, অ্যাপাচে সুপার হারকিউলিসসহ সমস্ত রকমের এয়ারক্রাফ্টে ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর হিসেবে কাজ করবেন নতুন ব্যাচের অফিসাররা।