বড়দিনের আগেই ক্রিসমাসের আনন্দে মেতে উঠল বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীরা। রবিবার বরানগরের বাগানবাড়িতে বড়দিনের এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে কেক কেটে বড়দিন পালন করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল একগুচ্ছে চমক।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:বড়দিন বছরে আসে একদিন। যে দিন জাতি- ধর্ম-বর্ণ সব ভুলে মানুষ মেতে ওঠে ক্রিসমাসের আনন্দে। বড়দিন মানেই সান্টাক্লজ, দারুণ দারুণ উপহার আর সেলিব্রেশন । ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই এই গা ভাষায় এই আনন্দে । কিন্তু, যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের কাছে এই দিনটা আর পাঁচটা দিনের মতোই । সব আনন্দ থেকেই তাঁরা থেকে যায় ব্রাত্য । এবার বড়দিনে তাঁদের কথা ভেবেই বিশেষ উদ্যোগ নিল ‘সংবেদন’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ক্রিসমাস এর আগেই তাই বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠলেন এই সমস্ত বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীরা। রবিবার তাদের জন্য বরানগরে বাগানবাড়ীতে আয়োজন করা হয়েছিল বড়দিনের। যেখানে কেক কেটে বড়দিন পালন করেন তাঁরা। শুধু কেক কাটা নয়, এই সমস্ত শিক্ষার্থীরা বরানগরের বাগানবাড়িতে মন খুলে আনন্দ করেন। একটি জমকালো কেক কাটার অনুষ্ঠানের পর জমকালো মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটা বোঝানো হয় তাঁরা একা নয়।তাঁদের পাশে আছে বহু মানুষ। যারা তাদের ভালোবাসে, তাদের আনন্দে আনন্দিত হন। এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের আনন্দ দিতেও চান। সেটা বোঝাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে মত উদ্যোক্তাদের। প্রতিবছরই এই বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘সংবেদন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে এই সমস্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি হস্তশিল্প, গানের পাঠও দেওয়া হয়। এদিন গান ও নাচের মাধ্যমে এক অন্য রূপ পেয়েছিল অনুষ্ঠানটি। কেউ বাবা-মায়ের হাত ধরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আবার কাউকে উদ্যোক্তারা নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে হাসি মুখি বিদায় নেয় তাঁরা। তাদের মুখ ছিল আনন্দ এবং ভালবাসার অভিজ্ঞতায় উজ্জ্বল।