বড়দিনে শীত উধাও হলেও শীতল আমেজেই স্বাগত জানান যাবে নতুন বছরকে। কাটছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রেশ, ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। ২থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস রয়েছে।
নাজিয়া রহমান সাংবাদিক: বড়দিনে কনকনে শীত উধাও থাকলেও বর্ষশেষে ফের নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। তাই নতুন বছরে শীতের আমেজ ভালোই অনুভূত হবে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। হাওয়া অফিসের মতে,মঙ্গলবার, বছরের শেষ দিনে ও বুধবার, নতুন বছরের প্রথম দিনে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। একের পর এক নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসে বড়দিনে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রির আশপাশে ছিল। শুধুমাত্র কলকাতার তাপমাত্রা নয় ওই সময় দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী ছিল । এরকারণ পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার আগমন এবং বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ পুবালি বাতাস ঢুকতে থাকায় ওই সময় শীত থমকে যায়। কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়। তবে এবার ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আগামী কয়েকদিন কলকাতার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যেমন দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানের কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার কিছু এলাকায়। তবে সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। ২থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস রয়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে পশ্চিম হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে প্রবল তুষারপাতের পাশাপাশি উত্তর ভারতজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। এছাড়া ঝঞ্ঝার প্রভাবে হরিয়ানার উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। সেখান থেকে উত্তর ভারতের উপর একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও অবস্থান করে। পাশাপাশি, আরব সাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প প্রবেশ করার জন্য বৃষ্টির মেঘ তৈরি হয় উত্তর ভারতে। এবার আপাতত কয়েকদিনের জন্য ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ায় সাময়িকভাবে তাপমাত্রা কমবে উত্তর ভারতে। আর তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতে। বছরের শুরুতে কনকনে ঠান্ডার আমেজ থাকলেও সেই আমেজ কতদিন বজায় থাকবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তার কারণ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই পরপর দু’টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে পশ্চিম হিমালয়ে। এই ঝঞ্ঝার ফলে দূর্বল হয়ে পড়তে পারে উত্তুরে হাওয়া। যার ফলে আবারও থমকে যেতে পারে শীত মত আবহাওয়াবিদদের।